কলকাতা: ফের শহরে বিধ্বংসী আগুন (Fire Incident)। ইলিয়ট রোডে পারফিউমের গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন। ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন (Fire Engine)। রাত ৮টা নাগাদ গোডাউনে আগুন। 


প্রসঙ্গত, কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা বাদ দিলে বহুতলে আগুন লাগার ঘটনাও কম নেই। কারখানায় দাহ্য পদার্থ যদি কারণ হয়ে থাকে, শহরের একাধিক বাড়িতেও আগুন লাগার অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রধান খলনায়ক কারেন্টের তার অর্থাৎ শর্টসার্কিট এবং গ্যাস সিলিন্ডার  বাস্ট করে আগুন। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে বউবাজারের বহুতলে আগুন লেগেছিল। তবে এক্ষেত্রে কারণটা ছিল ব্যাতিক্রমী। মূলত ওই বহুতলের বেসমেন্টে রাসায়নিকের গুদাম ছিল। 


সেখানেই আগুন লাগতে উপরের তলার ফ্ল্যাটের আবাসিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল আতঙ্ক। সঙ্কীর্ণ রাস্তায় আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েছিল দমকল।  কলকাতায় (Kolkata) এই বহুতলটির বেসমেন্টে রয়েছে মূলত রাসায়নিকের গুদাম। উপরের তলায় আবাসন, সেখানে আবাসিকরা রয়েছেন। সাততলা ভবনে বেসমেন্টে রয়েছে গুদাম। সেখানে রয়েছে রাসায়নিকের ড্রাম। সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরণ (Exploitation) ঘটছিল। প্রথমে সেখানে ঢুকতে পারছিলেন না দমকলকর্মীরা। ওই বেসমেন্টে ঢোকার ও বেরনোর পথ একটিই। সেটি বন্ধ ছিল। পিছনের একটি গেট কেটে আপাতত ব্যবস্থা করা হয়েছিল। 


অপরদিকে, এর আগে মে মাসে রাজভবনের কাছে অবস্থিত শরাফ হাউসেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। বিষয়টি জানতে পেরে নিজেই রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন রাজ্যপাল। রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজে পরিস্থিতি তদারকি করেন। আনা হয়েছিল হাউড্রলিক ল্যাডারও। মূলত শরাফ হাউসে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের দফতর রয়েছে। উপরে ছিল রান্নাঘর। সেখানেই আগুন লাগে বলে জানা যায়। স্থানীয়দের দাবি, মিনিট পনেরোর মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছিল। আগুন এত ভয়াবহ আকার ধারণ করে যে ছাদের বেশ কিছু অংশ খসে পড়তে শুরু করে। পর পর চারটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে বিস্ফোরণ ঘটেছিল আগুন লাগে বলে জানা যায়। 


আরও পড়ুন, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বীরভূমের সরকারি হাসপাতালে ঢুকে পড়ল যুবক !


তবে রাজ্যের দমকল দফতর এখন আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। আধুনিক সরঞ্জাম কেনা হয়েছে দমকলের খাতে। তবুও অনেক সময়ই শহরের একাধিক এলাকায় অভিযোগ ওঠে দমকলের ইঞ্জিন দেরি এসে পৌছানোর জন্য আগুন আরো বড় আকার নিয়ে ক্ষয়ক্ষতি বেড়ে যাওয়ার।  কিন্তু এই অভিযোগের পাশাপাশিই বেরিয়ে এসেছে আরও একটি বড় কারণ। মূলত অনেক সময় শহরের অধিকাংশ গলিগুলি সরু হওয়ার জন্য দমকলের গাড়িগুলি ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছে। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আকাশ ঢেকে যাওয়া তারের জটলা। যার জেরে দমকল ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যেতে দেরি করেছে।