Zinc Rich Food: অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় চুল লম্বায় একেবারেই বৃদ্ধি পায় না। তাঁরা মেনুতে যোগ করতে পারেন জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার। কী কী খেতে পারেন, একনজরে দেখে নেওয়া যাক। শুধু চুলের বৃদ্ধিতেই নয় চুলে ঘন করতেও কাজে লাগে এইসব জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে জিঙ্ক একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপকরণ বা মিনারেলস। মাথার তালু বা স্ক্যাল্পে অয়েল প্রোডাকশন অর্থাৎ তেলাভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে জিঙ্ক। এছাড়াও খুশকির সমস্যা দূর করতেও কাজে লাগে গুরুত্বপূর্ণ মিনারেলস জিঙ্ক।
আপনার দৈনন্দিন মেনুতে জিঙ্ক সমৃদ্ধ কোন কোন খাবার রাখতে পারবেন, রইল তালিকা
- পালং শাক- পালং শাকের মধ্যে রয়েছে ভিটামি এ এবং সি, আয়রন ও জিঙ্ক। এইসব উপকরণ চুলের বৃদ্ধিতে এবং চুল পড়ার সমস্যা কমাতে কাজে লাগে। শুধু জিঙ্ক নয়, পালং শাকের মধ্যে রয়েছে আরও অনেক প্রয়োজনীয় মিনারেলস যা চুলের স্বাস্থ্যের সার্বিক ভাবে খেয়াল রাখতে সাহায্য করে।
- কুমড়োর বীজ- কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক যা কেরাটিন উৎপাদন এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুলের বৃদ্ধির পাশাপাশি চুল ঘন হওয়া, চুলের উজ্জ্বলতা বজায় থাকা, চুল ময়শ্চারাইজড থাকা- এই সমস্ত কিছুর জন্যই প্রয়োজনীয় হল কেরাটিন।
- মুসুর ডাল- মুসুর ডালের মধ্যে থাকে আয়রন, জিঙ্ক, বায়োটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি এবং প্রোটিন- যা সার্বিকভাবে চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। উদ্ভিজ এই খাবারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনও। চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখার ক্ষেত্রে এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ।
- বিভিন্ন ধরনের বাদাম- আমন্ড, কাজু- এই জাতীয় বাদামে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। এর সঙ্গে থাকে হেলদি ফ্যাট। চুলের বৃদ্ধির পাশাপাশি চুলের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতেও সাহায্য করে এইসব বাদাম জাতীয় খাবার। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
- ইয়োগার্ট- উল্লিখিত খাবার গুলো ছাড়াও খেতে পারেন ইয়োগার্ট। এর মধ্যেও প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক খনিজ পদার্থটি থাকে যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রোবায়োটিকসে ভরপুর এই খাবার চুলের জেল্লা ফিরিয়ে আনতে পারে সহজে। অনেকেই বাড়িতে হেয়ার মাস্ক তৈরির ক্ষেত্রে ইয়োগার্ট ব্যবহার করে থাকেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন- চুলের বিভিন্ন সমস্যা নিমেষে দূর করে ভিটামিন ই, ঠিক কী কী ভাবে কাজে লাগে?