ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: কলকাতায় ফের এক বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যু (Mysterious Death) গলায় ফাঁস দেওয়া দেহ উদ্ধার। সার্ভে পার্কে বাড়ি থেকেই গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেহ উদ্ধার।গলায় ফাঁস দিয়ে দোতলার সিঁড়িতে বসা অবস্থায় ছিল দেহ, দাবি পরিবারের। মৃতার নাম আরতি বৈদ্য, বয়স ৬৫। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ডিপ্রেসনে আত্মহত্যা, অনুমান পুলিশের (Police)।


প্রসঙ্গত, গতবছরের শেষে দুটি ভয়াবহ রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। একটি উত্তর ২৪ পরগনায়। এবং অপরটি হুগলিতে।  দমদমের নাগেরবাজারে ভরদুপুরে হয়েছিল এক বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যু। ছাতাকল এলাকায় বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল বৃদ্ধাকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই বৃদ্ধার 'মাথায় আঘাতের চিহ্ন' ছিল। সেখান থেকেই উঠেছিল প্রশ্ন।


লুঠের উদ্দেশ্যে খুন বলে অভিযোগ ছিল বৃদ্ধার পরিবারের। 'দুপুরে বাগান পরিষ্কার করতে বাড়িতে আসে এক ব্যক্তি। বিকেলে বৃদ্ধার আর্তনাদ শুনে প্রতিবেশীরা আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।'  পরিবারের অভিযোগ ছিল, খুন করা হয়েছে বৃদ্ধাকে। কারণ খোয়া গিয়েছিল সোনার গয়না, দাবি পরিবারের। মুনমুন পাল নামে বছর বাষট্টির ওই মহিলার স্বামী শুল্ক দফতরের প্রাক্তন আধিকারিক। দমদমের এই ৩ তলা বাড়ির গ্যারাজ থেকে উদ্ধার হয়েছিল গৃহকর্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ।


অপর ঘটনাটি হুগলিতে ঘটেছিল। সেটি ছিল আরও ভয়াবহ। তিনদিন ধরে নিখোঁজ (missing) ছিলেন বৃদ্ধা (elderly woman)। রহস্যজনকভাবে  ঘরের (room) ভিতরের আলমারি থেকেই উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁর দেহ (body)। চুঁচূড়ার (chinsurah) ঘটনায় তুমুল কৌতূহল ছড়িয়ে পড়েছিল এলাকাবাসীর মধ্যে। খবর গিয়েছিল পুলিশে।  


আর সাম্প্রতিককালে নৃশংস ঘটনাগুলির মধ্য়ে অন্যতম অবশ্যই বাগুইআটির ঘটনাটি।বাগুইআটির এক অভিজাত আবাসনে ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে খুনের অভিযোগে আয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আয়ার ওপর বৃদ্ধার দেখাশোনার ভরসা করলেও পরিবারের লোকজন ঘরে লাগিয়ে রেখেছিলেন সিসিটিভি ক্যামেরা। আর সেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজই ধরিয়ে দিল অভিযুক্ত মহিলাকে। ১১ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় কলা মিশ্র নামে ওই বৃদ্ধার। 


আরও পড়ুন, তাঁর বুদ্ধিতেই রক্ষা পেয়েছে কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস, ‘মুরসালিম’-র বাড়িতে রাজ্যের মন্ত্রী


পরিবার সূত্রে খবর, গত ৭ বছর ধরে বিছানা থেকে উঠতে পারতেন না বৃদ্ধা। দেখভালের জন্য ২ জন আয়াকে রাখা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৯ সেপ্টেম্বর তারিখের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, রাতের আয়া সোফিয়া খাতুন ওই বৃদ্ধাকে মারধর করেন। বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।  CCTV ফুটেজে ধরা পড়ে আয়ার কীর্তি। তার ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, ধৃত মহিলা কবুল করেছেন রাতের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটানোয় তিনি বৃদ্ধাকে মারধর করেছিলেন। আর তাতেই প্রাণ যায় তাঁর।