অলিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: নৃশংস ভাবে এক যুবককে খুনের অভিযোগে আলিপুরদুয়ারে আটক সাতজন। ভারত-ভুটান সীমান্তে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় ওই যুবকের। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নৃশংস ভাবে খুন করা হয় ওই যুবককে। পুরুষাঙ্গ কেটে ভরে দেওয়া হয় তাঁর মুখের মধ্যে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সাত জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। (Alipurduar News)


আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁও থানার অন্তর্গত মেচিয়াবস্তি এলাকা থেকে এই নৃশংস খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। একটি নির্জন জায়গায়, খোলা আকাশের নীচে পড়েছিল এক যুবকের রক্তমাখা দেহ। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তাতেই ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে আসে। গোট ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। (Indo-Bhutan Border)


পুলিশ সূ্ত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম শান্তা বাহাদুর তামাং। ৩৫ বছরের শান্তা প্রাইভেট শিক্ষক। শান্তার স্ত্রী জানিয়েছেন, মদ্যপানে আসক্তি ছিল স্বামীর। অতিরিক্ত মদ্যপান নিয়ে তাঁদের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। সেই কারণে গত তিন মাস ধরে আলাদা থাকছিলেন স্বামী-স্ত্রী। স্ত্রী দলসিংপাড়ায় এবং শান্তা মেচিয়াবস্তির শুক্রাজোতে থাকছিলেন আলাদা আলাদা।


আরও পড়ুন: Kasba shootout: মাত্র ১০ হাজার টাকাতেই কাউন্সিলরকে খুন করতে এসেছিল যুবক? ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে কে এই ইকবাল?


গতকাল ভোরে ফোনে তাঁদের মধ্যে কথা হয় বলেও জানিয়েছেন শান্তার স্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে চারচাকার গাড়ি কিনেছিলেন শান্তা। কিন্তু জুয়া খেলতে গিয়ে বাজি রেখে গাড়িটি হেরে যান তিনি। সেই নিয়ে গত ছ'মাস ধরে অশান্তি, দুশ্চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু এভাবে যে খুন হতে হবে শান্তাকে, তা দুঃস্বপ্ন বলে মনে হচ্ছে স্ত্রীর। 


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের পর শান্তার পুরুষাঙ্গও কেটে তাঁর মুখে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সাত সন্দেহভাজনকে এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। তবে কী কারণে এমন নৃশংস ভাবে খুন করা হল শান্তাকে, তা নিয়ে ধন্দ কাটছে না।


এমন নৃশংস খুনের ঘটনা সামনে আসার পর তা ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। প্রশ্ন উঠছে আইন-শৃঙ্খলা নিয়েও।  এমনকি শাসকদলের নেতারাও যে নিরাপদ নন, তার প্রমাণও মিলেছে। তাই কিছু দিন ধরে রাজ্যে অপরাধমূলক কাজকর্ম যেভাবে বেড়ে চলেছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ।