কলকাতা: কলকাতাতেও(Kolkata) কি ওমিক্রনে (Omicron) গোষ্ঠী সংক্রমণ? কলকাতা পুর এলাকায় করোনা আক্রান্ত হলেই নজরদারির নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য দফতর (Department Of Health)। কলকাতা-সহ ৮ মেট্রো শহরেই ওমিক্রন নিয়ে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। সিটি ভ্যালু তিরিশের নীচে হলেই জিনোম সিকোয়েন্সিং, ট্রপিক্যাল মেডিসিন নমুনা সংগ্রহ করে পাঠাবে কল্যাণী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরামর্শে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ।
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রন। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। তিনি এই চিঠিতে লিখেছেন, ‘ডেল্টার চেয়ে অন্তত তিন গুণ বেশি সংক্রমিত হতে পারে ওমিক্রন। ফলে সংক্রমণ রোখার জন্য স্থানীয় ও জেলা স্তরে তথ্য বিশ্লেষণ, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কন্টেনমেন্ট সংক্রান্ত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’
দেশে দ্রুতহারে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ২০০। এই পরিস্থিতিতে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিল কেন্দ্র। স্বাস্থ্যসচিব চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ‘জেলা স্তরে নিয়মিত করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করতে হবে, অন্য ভৌগলিক অঞ্চলে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে, হাসপাতালে চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে এবং তা কাজে লাগাতে হবে, আরও বেশি কর্মী নিয়োগ করতে হবে, কন্টেনমেন্ট জোনের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে, কন্টেনমেন্ট জোন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ পালন করতে হবে। জেলা স্তরে কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। এমন একটি কৌশল নিতে হবে, যাতে একটি অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে।’
দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, করোনায় দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ কমল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩২৬ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৫৬৩। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৫৩ জনের।
গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৩২। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭ জনের।আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৭ লক্ষ ৫২ হাজার ১৬৪। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮৯৯ জনের।
মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ কোটি ৫৩ লক্ষ ৯৭ হাজার ১৮৮।