ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : মৃত্যুর পরেও শান্তি নেই ! কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Calcutta Medical College Hospital) সত্তরোর্ধ্ব মহিলার মৃতদেহ নিয়ে শুরু হয়েছে টানাটানি। দাবিদার অনেক। এই টানাপোড়েনে মর্গে পড়ে আছে দেহ। সমস্যায় পড়ে বউবাজার থানার (Boubazar Police Station) দ্বারস্থ হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
মৃতদেহের একাধিক দাবিদার, মর্গেই পড়ে দেহ
একটি মৃতদেহ, দাবিদার অনেকে। দেহ কে নেবে, এই নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। আর এই নিয়েই মস্ত বিড়ম্বনায় পড়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ৭ জানুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব সরস্বতী গুপ্তকে। ৭ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃতের স্বামী, সন্তান না থাকায়, নিজেদের আত্মীয় বলে দাবি করেন কয়েকজন। যিনি রোগিণীকে ভর্তি করেন, তাঁর সঙ্গে বাকিদের দেহ নেওয়া নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়। কর্তৃপক্ষের মধ্যস্থতায় দু’পক্ষের বিবাদ সাময়িক মিটলেও, মৃত্যুর শংসাপত্র ইস্যু করা নিয়ে ফের গোলমাল বাধে।
থানার দ্বারস্থ হাসপাতাল
দেহ কার হাতে তুলে দেওয়া হবে, সেই সংক্রান্ত আইনি জটিলতা কাটাতে বউবাজার থানার দ্বারস্থ হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। পুলিশের তরফে উত্তরপাড়া থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ অঞ্জন অধিকারী জানিয়েছেন, হুগলির সত্তরোর্ধ্ব মহিলা স্বামী বা সন্তান নেই। তাঁকে নিজেদের আত্মীয় বলে দাবি করেছেন কয়েকজন। কিন্তু যাঁর নাম রোগিণীর ভর্তির সময়ে উল্লেখ ছিল, তাঁর সঙ্গে বাকিদের বিবাদ বাঁধে মৃত্যুর শংসাপত্র ইস্যু করা নিয়ে। যার ফলে দেহ হাসপাতালের মর্গেই পড়ে। কার বা কাদের হাতে মৃতদেহ তোলা দেওয়া যায় সে নিয়ে খোঁজখবর নিয়ে সাহায্য করতে পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয়েছে আমাদের।
পুলিশের তরফে জানা যাচ্ছে, উত্তরপাড়া থানার (Uttarpara Police Station) সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে ওই মহিলার আত্মীয় কারা সেবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর পেতে। তাদের কাছে সাহায্য চাওয়া হচ্ছে তথ্য পেতে। তবে যতক্ষণ না তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ সম্ভবত হাসপাতালের মর্গেই পড়ে থাকতে হবে মহিলাকে। কথায় বলে, মৃত্যুর পর নাকি শান্তি। কিন্তু মৃত্যুর পরও তাই হয়তো শান্তি সব জায়গাতে নেই।