অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাজেটে (Union Budget 2023) নজর কলকাতার মেট্রো প্রকল্পে। তিনটির মধ্যে ২টি মেট্রো প্রকল্পেই (Metrio Projects) বরাদ্দ বাড়ল এই সাধারণ বাজেটে। 


বিপুল বরাদ্দ বৃদ্ধি: 
জোকা-বিবাদী বাগ (Joka-BBD Bag) মেট্রো প্রকল্পে বরাদ্দ বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। আগে এই প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৭৯৪ কোটি, এবার বরাদ্দ ১৩৫০ কোটি। বরাদ্দ বেড়েছে এয়ারপোর্ট-নিউ গড়িয়া (New Garia-Airport) মেট্রো রুটেও। এই রুটে বরাদ্দ বাড়ছে প্রায় ২৫ শতাংশ। আগে এই প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৯০৪ কোটি, এবার বরাদ্দ হচ্ছে ১২০০ কোটি।


বরাদ্দ কম ইস্ট-ওয়েস্টে:
বাকি দুটি মেট্রো রুটে বরাদ্দ বাড়লেও এখন সামান্য কমেছে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর (East West Metro) বরাদ্দ। আগে বরাদ্দ ছিল ১১০০ কোটি, এবার বরাদ্দ ১ হাজার কোটি। নির্মাণকারী সংস্থা, KMRCL-এর বক্তব্য, প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ফলে, যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তা কাজ শেষ করার জন্য যথেষ্ট।

এই বছর সামগ্রিক ভাবে রেলে বিপুল পরিমাণ বরাদ্দ হয়েছে বাজেটে। ২০১৭ সাল থেকে আর আলাদা করে রেল বাজেট হয় না। সাধারণ বাজেটের সঙ্গে রেল বাজেট যুক্ত করা হয়েছে। তার পর থেকে রেল বাজেট নিয়ে আর আলাদা করে কোনও উন্মাদনা থাকে না। কিন্তু, দেশের লাইফ লাইনের বাজেট বরাদ্দের উপর নজর থাকে সকলের। এই বছরে রেল বাজেটে ২ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যা ২০১৩-১৪ সালের অর্থবর্ষের সঙ্গে বিচার করলে অন্তত ৯ গুণ। এয়ারপোর্ট-নিউ গড়িয়া মেট্রো, প্রথম পর্যায়ে নিউ গড়িয়া থেকে রুবি মোড় পর্যন্ত মেট্রো চলবে। ইতিমধ্যেই, এই পথে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির পরিদর্শন শেষ হয়েছে।


২০১৪ সাল পর্যন্ত, রেলে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল বাৎসরিক ৪৫ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা পর্যন্ত। অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, আগামী ১০ বছরে রেলে বিশাল পরিমাণ খরচ হতে চলেছে। রেলের অনেক ক্ষেত্রেই নানা অভিযোগ উঠেছে। কোন কোনও রুটে ট্রেনে ভিড়ের ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠে যায় যাত্রীদের। অথচ পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় কোনও পদক্ষেপ করা যায়নি। সেদিকে নজর রেখেই হয়তো এ বছর রেলে বিপুল পরিমাণ বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে রেলে আরও বেসরকারি বিনিয়োগ আসতে চলেছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। ভারতীয় রেল বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ বৈদ্যুতিক রেল নেটওয়ার্ক পরিষেবায় পরিণত হতে চলেছে। এই প্রক্রিয়ায় চলতি অর্থবর্ষে ১ হাজার ৯৭৩ কিলোমিটার রেলপথ বৈদ্যুতিকরণের আওতায় আনা হয়েছে। যা গত অর্থবর্ষের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি।


 আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার, উৎস কি বাংলাদেশ?