কলকাতা: আর রাতের অন্ধকারে নয়, এ বার শহরের রাস্তায়, দিনের বেলা দুই তরুণীকে উত্যক্ত (Eve Teasing) করার অভিযোগ সামনে এল।  সাম্প্রতিক কালে লাগাতার এই ধরনের ঘটনা সামনে আসছে। তাতে এ বার নয়া সংযোজন মৌলালির (Moulali) কাছে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়া দুই তরুণীকে উত্যক্ত করার ঘটনা। তবে ট্রাফিক পুলিশ (Kolkata Traffic Police) তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করায় অভিযুক্ত দু'জন চম্পট দিতে পারেননি। তাঁদের আটক করা হয়েছে।


মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ মৌলালির কাছে ফুটপাত দিয়ে যাচ্ছিলেন দুই তরুণী। অভিযোগ, সেই সময় রোগীশূন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে তাঁদের কাছে ঘেঁষে আসেন অ্যাম্বুল্যান্সের চালক (Ambulance Driver) এবং তাঁর সহযোগী। দু'জনে মিলে তাঁদের উত্যক্ত করতে শুরু করেন। প্রথম বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেওয়ার চেষ্টা করলেও, অভিযুক্ত দু'জন পিছু হটেনি। তাতেই দৌড়ে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশকে গোটা ঘটনা জানান ওই দুই তরুণী। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্সটিকে আটক করে পুলিশ। এন্টালি থানার পুলিশ অভিযুক্ত দু'জনকে আটক করেছে।


সপ্তাহ দুয়েক আগে বাইপাসের উপর এক মূক ও বধির তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। কাজ থেকে ফেরার সময় রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন ওই তরুণী। সেই সময় জোর করে তাঁকে গাড়িতে তুলে নেওয়া হয় এবং চলন্ত গাড়িতেই ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। অমানুষিক অত্যাচারের পর ওই তরুণীকে গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। 


আরও পড়ুন: Kolkata High court News: 'সুরক্ষার সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত' স্কুল বন্ধের আর্জি খারিজ হাইকোর্টের


সেই ঘটনায় প্রগতি ময়দান থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন নির্যাতিতা ওই তরুণী। সে বার পুলিশের তরফেও বিশেষ তৎপরতা দেখা যায়। মূক ও বধির ওই তরুণীর কথা বুঝতে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেয় পুলিশ। তার পর টিআই প্যারেড করে অভিযুক্তদের শনাক্তও করানো হয় ওই তরুণীকে দিয়ে। পর দিন সকালেই গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে তোলা হয় আদালতে।


শুধু রাস্তায় বেরিয়ে নিগ্রহের শিকার নয়, সম্প্রতি বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে বন্ধুর বাবার লালসার শিকার হতে হয় এক নাবালিকাকে। ইএম বাইপাস সংলগ্ন আনন্দপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, ওই কিশোরী বন্ধুর বাড়ি গেলে, তার বাবা মেয়েকে দোকানে পাঠিয়ে দেন। এর পর ওই কিশোরীর উপর যৌন নির্যাতন চালান তিনি। মাদক মেশানে পানীয় খাইয়ে, কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে নদিয়ার তেহট্ট থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।