অনির্বান বিশ্বাস, কলকাতা: ফের ঘাটতি বাজেটের গেরোয় কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভায় ১১২ কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ। প্রায় ৬৭০ কোটি টাকা কম ঢুকেছে কলকাতা পুরসভার কোষাগারে। অর্থাৎ গত বছর পুরসভার বাজেটে আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল, তার চেয়ে ঢের কম টাকা ঢুকেছে পুরসভার কোষাগারে। (KMC Budget Deficit)


যত ভাবা হয়েছিল, তত আয় হল না কলকাতা পুরসভার


কলকাতা পুরসভায় বেশ কয়েক বছর ধরেই ঘাটতি বাজেট চলছে। শনিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বাজেট পেশ করলে দেখা যায়, এবারও বাজেটে ১১২ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে। আর একটি বিষয় চিন্তা বাড়িয়েছে সকলের, যা হল কলকাতা পুরসভার আয় কমে যাওয়া। বাজেটে যে পরিসংখ্যান উঠে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, গত বছর প্রায় ৪৫০০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল।(Kolkata Municipal Corporation)


কিন্তু এদিন বাজেট পেশ হতে দেখা যায়, আয়ের সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। বরং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৭০ কোটি টাকা কম আয় হয়েছে। পুরসভার বাজেট নিয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠকও করেন মেয়র ফিরহাদ। তিনি জানান, বিজ্ঞাপন-সহ বেশ কিছু বিভাগ থেকে কম আয় হয়েছে। যে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল তা পূরণ হয়নি। 


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee On Section 144 : ১৪৪ ধারা নিয়ে একসময় সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন মমতা, বিরোধী নেত্রী হিসেবে কী বলেছিলেন তিনি?


তবে পুরসভার আয় কম হলেও নাগরিক পরিষেবায় কোনও কাটছাঁট হবে না বলে এদিন আশ্বাস দেন মেয়র ফিরহাদ। তিনি জানান, আয়ে ঘাটতি থাকলেও, নাগরিক পরিষেবায় কোনও খামতি থাকবে না। শারীরিক অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ফিরহাদ। বাজেট পেশের জন্য আজ হাসপাতাল থেকে পুরসভায় আসেন তিনি। তার পর সাংবাদিক বৈঠকও করেন।


বাজেটে ঘাটতি থাকলেও, পরিষেবায় প্রভাব পড়বে না, আশ্বাস ফিরহাদের


গত দু'বছর ধরেই কলকাতা পুরসভা আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। পুরসভার কাছ থেকে ১০০০ কোটি টাকারও বেশি পাওনা বাকি রয়েছে ঠিকাদারদের। শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে পুরসর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা অবসরকালীন প্রাপ্ত টাকাও এখনও পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে পুরসভার অর্থনৈতিক অবস্থা যা, আয়ের থেকে ব্যয় যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে সেই টাকা কখন মেটানো হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।