অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : ২০২৩-এ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, এখনও সেভাবে কোনও কাজ এগোয়নি কালীঘাট স্কাইওয়াকের (Kalighat Skywalk)। ক্ষুব্ধ কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality)। ঠিকাদার সংস্থার কাছে লিখিত কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। মেশিনের সমস্যা সহ একাধিক কারণে কাজে দেরি। জানিয়েছে ঠিকাদার সংস্থা।
ইতিমধ্যেই দর্শনার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক। কিন্তু তিন বছর আগে শুরু হলেও, এখনও সে অর্থে কোনও কাজ এগোয়নি কালীঘাট মন্দির চত্বরের স্কাইওয়াকের কাজ।
আরও পড়ুন ; বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু কলকাতায়
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই দক্ষিণেশ্বরের আদলে, গত বছর কালীঘাটে স্কাইওয়াক তৈরির কাজ শুরু হয়। স্কাইওয়াকের পাশাপাশি এখানে নতুন করে হকার্স কর্নার বানানোরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঠিকাদার সংস্থাকে। এর জন্য বেশ কয়েকজন হকারকে, হাজরা পার্কে স্থানান্তরিতও করা হয়।
কতদূর কাজ ?
কিন্তু, ২০২৩-এ কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হলেও, দু-এক জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি ছাড়া, কোনও কাজই এগোয়নি। আর এতেই বেজায় ক্ষুব্ধ কলকাতা পুরসভা। কাজে দেরি হওয়ার কারণ কী ? দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থাকে তা লিখিতভাবে জানাতে বলেছে পুরসভা। প্রয়োজনে ওই সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করার চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছে।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমাদের ৬ মাসের পর্যালোচনা বৈঠক হয়। সেটা করতে গিয়ে দেখি কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ অত্যন্ত ধীর গতিতে হচ্ছে। দেবাশিস কুমারকে পাঠিয়েছি। প্রয়োজনে কালো তালিকা করব।
ঠিকাদার সংস্থার অবশ্য দাবি, যন্ত্র খারাপ-সহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে কাজে গতি আসেনি। কালীঘাট স্কাইওয়াকের ঠিকাদার সংস্থা ডিরেক্টর জানিয়েছেন, ২০২৩-এর মার্চ-এপ্রিলে কাজ শেষ হওয়ার কথা। জুন-জুলাইয়ে শেষ করে দেব। আমাদের মেশিন খারাপ, যদিও সেটা দমদমে কাজে লাগানো হচ্ছে, পাইলিংয়ের কাজ হচ্ছে না। সংস্থা বারবার সমস্যার কথা বলছে।
এনিয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, মাত্র ৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। ২-৩ মাস বেশি হলে, পেনাল্টি দিতে হবে, আগে ওরা লিখিত দিক তারপর দেখছি।
কিন্তু প্রশ্ন হল, কালীঘাট স্কাইওয়াক তৈরির কাজে গতি আসবে কবে ? এক বছরের মধ্যে কি কাজ শেষ হবে?