হিন্দোল দে, কলকাতা: প্রোমোটারের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য কলকাতার রিজেন্ট কলোনিতে (Regent Colony)। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ঝুলন্ত দেহ। পুলিশের অনুমান ওই প্রোমোটার আত্মহত্যা করেছেন। মৃত ব্যক্তির নাম সুশান্ত মুখোপাধ্যায়, বয়স ৪৮ বছর। রবিবার সকালে রিজেন্ট কলোনির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ওই প্রোমোটারের (Promoter) দেহ। নিজের ঘর থেকেই ওই প্রোমোটারের দেহ মিলেছে। সূত্রের খবর, এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রোমোটারকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। 


পরিবারের দাবি: 
পরিবারের দাবি, সুশান্ত অনেকদিন ধরেই মানসিক চাপে ছিলেন। পুলিশের (Police) অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন ওই প্রোমোটার। তাহলে কি মানসিক চাপেই আত্মহত্যা? সূত্রের খবর, সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


কেন মানসিক চাপ?
পরিবারের দাবি, বেশ কয়েকটি প্রোমোটিংয়ের কাজ আটকে ছিল সুশান্তর।  তার সঙ্গেই বাজারেও প্রচুর ধারদেনা হয়ে গিয়েছিল। তার সঙ্গেই ব্যক্তিগত জীবনেও চাপ ছিল সুশান্তর। মৃত প্রোমোটারের পরিবার সূত্রের খবর, স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা ছিল না সুশান্তর। দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকেন স্ত্রী। সব মিলিয়ে প্রবল মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন সুশান্ত। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই প্রোমোটার। তাহলে কি মানসিক চাপেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন সুশান্ত? খতিয়ে দেখছে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ।


এর আগে প্রায় একইরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায়। সেবারও বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ক্লাস টেনের ছাত্র ছিল সে। টিউশন পড়তে যাওয়ার কথা ছিল ওই ছাত্রের। সময়ে পেরিয়ে গেলেও ঘর থেকে বেরোয়নি ওই ছাত্র। দেরি দেখে ডাকাডাকি শুরু করে পরিবার। তারপরেও সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ঢুকতেই ঝুলন্ত দেহ দেখা যায়। পড়াশোনার পাশাপাশি গানবাজনাও করত ওই ছাত্র। ঘর থেকে সুইসাইড নোটও মেলেনি। পুলিশের সন্দেহ ছিল, আপাতদৃষ্টিতে সব ঠিক থাকলেও ভিতরে ভিতরে কোনও অবসাদে ভুগছিল ক্লাস টেনের ওই ছাত্র।  


আরও পড়ুন: আরও পড়ুন: খেজুরির বিস্ফোরণে ওড়িশা থেকে পাকড়াও আরও এক