কলকাতা: একবছরেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হল সঙ্গীতশিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Riddhi Banerjee)। কথা না বলেই তাঁকে রাজ্য বিজেপির কার্যনির্বাহী কমিটিতে রাখা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (J P Nadda) ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder) ট্যাগ করে ট্যুইট করলেন গায়িকা ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় (Riddhi Banerjee)। তাঁর দাবি, বিজেপি সম্পর্কে মোহভঙ্গ হয়েছে। এই মুহূর্তে দলের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। এই নিয়ে এবিপি আনন্দকে প্রতিক্রিয়া জানালেন গায়িকা ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়। 


বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হল সঙ্গীতশিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়ের: একদিনে পদ্ম শিবিরে জোড়া অস্বস্তি। একদিকে জেলা সংগঠন থেকে গণ ইস্তফা। অন্যদিকে, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হল সঙ্গীতশিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, জলপাইগুড়ির পর উত্তর ২৪ পরগনা। দিন যত এগোচ্ছে, ততই জেলায় জেলায় বিজেপিতে চড়া হচ্ছে বিদ্রোহের সুর। একবছরের মধ্যেই বিজেপিতে মোহভঙ্গ হয়েছে সঙ্গীতশিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর দাবি, কথা না বলেই তাঁকে রাজ্য বিজেপির কার্যনির্বাহী কমিটিতে রাখা হয়েছে। এরপরই এনিয়ে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ট্যাগ করে ট্যুইট করেছেন গায়িকা ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়। 


এদিকে বিক্ষোভের আঁচ বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলায়। জেলা সভাপতি তাপস মিত্রকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে গণ ইস্তফা দিলেন ১৫ জন পদাধিকারী। ইতিমধ্যেই রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে গণ ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্রর বিরুদ্ধে কামিনি-কাঞ্চন যোগ-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে পদত্যাগপত্রে। বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছেন বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। নিজের পছন্দমতো লোকেদের বিভিন্ন পদে বসানো এমনকী তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাঁতেরও অভিযোগ করেছেন বিজেপির বিদ্রোহীরা। বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে, প্রমাণ করতে না পারলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে, কেউ চলে গেলে কোনও অসুবিধা হবে না।’’


আরও পড়ুন: Babul Supriyo Oath: বিমানে সেই আপত্তিই ধনকড়ের, ফেরালেন বাবুলের আর্জি, শপথগ্রহণ ঘিরে তুঙ্গে তরজা