অর্নিবাণ বিশ্বাস, কলকাতাঃ হরিদেবপুরের (Haridevpur) পর এবার ফের শনিবার নারকেলডাঙায় (Narkeldanga) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মৃত্যু। জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিট নাগাদ নারকেলডাঙায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে  ১৩ বছরের বালকের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, এদিন বৃষ্টির সময় বিদ্যুতের পোস্টে হাত দিতেই বালকের মৃত্যু হয়। টিউশনি সেরে বাবার সঙ্গে বাড়ি ফেরার সময়ই এই দুর্ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ নাগাদ রাজা রাজানারায়ণ স্ট্রিটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই বালকের মৃত্যু ঘটেছে।


আরও পড়ুন, বারবার তলবেও বেপাত্তা নূপুর ! বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস কলকাতা পুলিশের


প্রসঙ্গত, হরিদেবপুরেও সম্প্রতি একইভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর এলাকার কাউন্সিলর বলেন, জমা জল সরাতে পাম্প চালাতে বলেছিলাম। ঠিকাদার জানান, ওয়ার্ক অর্ডার নেই। পাম্প চালালে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। হরিদেবপুর জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বালকের মৃত্যুর ঘটনায় দাবি ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না শূরের। এই ঘটনায় সিইএসি আগেই দাবি করে, ওই বাতিস্তম্ভ তাদের নয়। স্থানীয় কাউন্সিলর রত্না শূরের দাবি, বিএসএনএল- এর পোস্ট ব্যবহার করে পুরসভাই আলো লাগিয়েছিল। দিনকয়েক আগে ওই বাতিস্তম্ভের গোড়ায় খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছিল। এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর।অভিযোগ, বৃষ্টিতে রাস্তার জমা জলে মূলত ওত্‍ পেতে রয়েছে বছরের পর বছর মরণফাঁদ। জানা যায়, লাইটপোস্টে হাত দিতেই হরিদেবপুরে তড়িদাহত হয়ে মর্মান্তিক ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। তবে ওই দুর্ঘটনার পরেই দুটি পাম্প চালিয়ে জমা জল নামাল পুলিশ, এত দেরি কেন, প্রশ্ন তোলে প্রতিবেশীরা। এদিকে ওই বাতিস্তম্ভ তাদের নয়, দাবি সিইএসসি-র। বিএসএনএল-র পোস্ট ব্যবহার করে বিদ্যুত্‍ সরবরাহ হত, দাবি স্থানীয় কাউন্সিলরের। দিনকয়েক আগে ওই বাতিস্তম্ভের গোড়ায় খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছিল, দাবি করেন এলাকার কাউন্সিলর।


এদিকে হরিদেবপুরের (Haridevpur) পর এদিন ফের নারকেলডাঙায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মৃত্যু হয় বালকের। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় নারকেলডাঙায় টিউশনি সেরে বাবার সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল ওই বালক। আর তখনই ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ঘড়ির কাটায় তখন সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিট। এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বৃষ্টির জলে ভেজা শহরের অধিকাংশ বাতিস্তম্ভ। এদিকে এমনিতেই বৃষ্টির জলে  নাইট্রাস-সহ একাধিক অ্যাসিডিক পরিমাণ বেশি থাকে। এবং এই অ্যাসিডিক বৃষ্টির জল হল বিদ্যুতের উত্তম পরিবাহক। এদিকে শহরের অধিকাংশ জায়াগাতেই বিদ্যুতের তার বাইরে বেরিয়ে রয়েছে। যা কিনা মূলত পুরোপুরিই বিপদজ্জনক। বছরের পর বছর এই বর্ষাকালে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। আর বিদ্যুৎস্তম্ভের তার একই অবস্থায় রয়েছে। আর এবারও সেই বিপদজ্জনক বাতিস্তম্ভই প্রাণ নিল নারকেলডাঙার ১৩ বছরের বালকের বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, শনিবার একই দিন নারকেলডাঙা, বাঁকুড়া-সহ রাজ্যের মোট তিনটি জায়গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।