কলকাতা: হাইকোর্টে (High Court) প্রাথমিকে চাকরি চেয়ে ১ হাজার ৪০০ জনের আবেদন। আবেদনের পথে আরও ২০০০ জন চাকরিপ্রার্থী। জরুরি ভিত্তিতে মামলার অনুমতি দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।


হাইকোর্টে প্রাথমিকে চাকরি চেয়ে ১ দিনে ১৪০০ আবেদন


২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি চেয়ে আদালতে আবেদন। টেট ২০১৪ উত্তীর্ণদের তরফে আবেদন। ৩৯২৯ শূন্যপদে ৭ নভেম্বরের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি। নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। যোগ্যতা ও মেধা অনুযায়ী চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন মঙ্গলবার আবেদনের শুনানি বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চে।


প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগের (West Bengal Board Of Primary Education) বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন ১০ জন চাকরিপ্রার্থী। গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন বিএড উত্তীর্ণ প্রার্থীরাও, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির এই অংশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়। বিএড ডিগ্রিধারীরা এই নিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। দাবি মামলাকারীদের। পর্ষদের পক্ষে তো খুব সমস্যা, কোন পদক্ষেপ করলেই মামলা হচ্ছে। মন্তব্য বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি।


 গত ২৯ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যেখানে বলা হয়, রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এক্ষেত্রে ডিএলএড-এর পাশাপাশি বিএড ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারবেন। এখানেই সমস্যার সূত্রপাত। মামলাকারীরা বলছেন, নিয়ম অনুযায়ী বা আইন অনুযায়ী বি এড যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া তাতে অংশ নিতে পারেন না। সেই কারণেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তির সংশোধন চেয়ে এই মামলা করেছেন মামলাকারীরা। 


আরও পড়ুন, 'ছোটবেলায় আমি তিনটে বছর গান শিখেছিলাম', স্মৃতির শহরে মমতা


চাকরিপ্রার্থীদের আশা আরও বাড়িয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর একসঙ্গে প্রাথমিকের টেট  এবং প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বলা হয়, নিয়োগের জন্য চাকরিপ্রার্থীরা ২১ অক্টোবর থেকে আবেদন করতে পারবেন। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরাও আবেদন করতে পারবেন। ডিএলএড দেরিতে হওয়ায় এখনও রেজাল্ট বেরোয়নি। তাই দ্বিতীয় বর্ষের প্রার্থীরাও নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। তবে তিনদিন আগেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ শূন্যপদে নিয়োগের কথা জানায়।