কলকাতা: সবে সিবিআই তলব পেরিয়েছে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর থেকেই একের পর এত তোপ দেগেই চলেছেন তৃণমূলের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন তলব শেষে বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সামনে বলেছিলেন, 'দেশের সবথেকে বড় পাপ্পু অমিত শাহ।' আজও সেই উষ্মা ফের ধরা পড়ল নেতাজি ইন্ডোরে আজ তৃণমূলের বিশেষ সাংগঠনিক অধিবেশনে। তবে এদিন শুধু এই ইস্যুতেই নিশানা করে থেমে থাকেননি, আজ দুর্গাপুজোর ইস্যুতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে নাম না করেই আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


বিজেপির জল্লাদ এবং সিপিএম-র হার্মাদরা এক হয়েছে: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়


এদিন অভিষেক বলেন,  'তৃণমূলের উপর যতো আঘাত করবে, তত তৃণমূল কংগ্রেস শক্তিশালী হবে। যত তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অপর কুৎসা রটিয়েছে, অপমানিত করেছে, তৃণমূল কংগ্রেস ততো শক্তিশালী হয়েছে। একুশ সালে গো হারা হেরেছে বিজেপি। রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে অ্যাটাচড করা হয়েছে। তাই আমাদের যদি মাথা নত করতে হয়, দিল্লি জল্লাদদের কাছে নয়, সাধারণ মানুষের কাছে মাথা নত করব।  বিজেপির জল্লাদ এবং সিপিএম-র হার্মাদরা এক হয়েছে। যাতে এক হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করা যায়। এরপরেই এদিন তিনি বলেন, যারা ২০১৮ সালে বলেছিলেন দিদি তো বাংলায় দুর্গা পুজো করতে দেয়নি, আজ কি বলছে ? বিশ্ব দরবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ইউনেসকো-র সম্মান নিয়ে এসেছে, আমাদের এই বাংলার দুর্গাপুজো। এরপরেই তিনি বলেন, তুমি ৩ হাজার কোটি টাকার মূর্তি গড়তে পারো, আর বাংলার ক্লাবগুলিকে ২৫০ কোটি টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিলেই দোষ।'


আরও পড়ুন, কোনও বিধায়ক লেটারহেডে চাকরির অনুরোধ করবেন না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


বাংলার দুর্গাপুজোয় ইউনেসকোর হেরিটেজ মুকুট


বাংলার দুর্গাপুজোয় ইউনেসকোর হেরিটেজ মুকুট। তারই ধন্যবাদজ্ঞাপনে সম্প্রতি সরকারিভাবে পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে, কলকাতায় বর্ণাঢ্য পদযাত্রায় অংশ নেন ইউনেসকোর প্রতিনিধিরাও। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির কাছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে কলুটোলা,  চাঁদনি চক, ডোরিনা ক্রসিং, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ হয়ে শোভাযাত্রা পৌঁছয় রেড রোডে। তার আগে গিরিশ পার্কে জড়ো হয় ফোরাম ফর দুর্গোত্সবের অধীন পুজোগুলির উদ্যোক্তারা। উত্তর কলকাতার পুজোর উদ্যোক্তারা জড়ো হয় বিবেকানন্দ রোডে। পোস্তা উড়ালপুলের দিকে দক্ষিণ কলকাতার পুজো কমিটিগুলির প্রতিনিধিরা। অন্যদিকে, সল্টলেক ও হাওড়া থেকে আসা পুজো কমিটিগুলির উদ্যোক্তারা  শ্যামবাজারে। গিরিশ পার্ক থেকে সম্মিলিত মিছিল আসে জোড়াসাঁকোয়। সেখান থেকে মিছিলে পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী। মিছিলে ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তি, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। রেড রোডে অনুষ্ঠিত বাউল গানের আসর। যার মাধ্যমে তুলে ধরা হয় বাংলার লোক সংস্কৃতি।