ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বাবুল সুপ্রিয়র কনভয়ের শেষে  (Babul Supriyo's convoy) নিরাপত্তারক্ষীর গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, মূলত রামপুরহাট পুরসভার উৎসবে যোগদানের সময়ই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছে, যার মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর বলে শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে।


প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিক জায়গায় নেতা-মন্ত্রীদের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। হামলা যাতে না হয়, তার জন্য এমননিতেই সক্রিয় নিরাপত্তা থাকে নেতা ও মন্ত্রীদের কনভয়ে। তবুও শেষ রক্ষা হল না। এবার বাবুল সুপ্রিয়-র কনভয়ে অঘটন।সম্প্রতি এই বীরভূম জেলাতেই আরও একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। যার জেরে নতুন বছরে প্রাণ হারান এক জন। ঘটনাটি ঘটেছিল বীরভূমের কীর্ণাহারের জুবুটিয়া বাসস্ট্যান্ডে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, রবিবার বেলা এগারোটা নাগাদ দুজন মোটরবাইক করে কীর্ণাহার থেকে ফুটিসাঁকো গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। একই সময় উল্টো দিক থেকে একটি ডাম্পার আসছিল। সেই ডাম্পারের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে মোটরবাইকটির। ঘটনাস্থলেই মারা যান হয় জিৎ দলুই। গুরুতর আহত দ্বিতীয় জন। আহত ব্যক্তিকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে  নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 'ঘাতক' ডাম্পারের খোঁজের তল্লাশি চালাচ্ছে কীর্নাহার থানার পুলিশ।


 প্রসঙ্গত, রাজ্যের নানা প্রান্তে সড়ক দুর্ঘটনা একেবারে নতুন নয়। দিনদুয়েক আগেই নদিয়ায় দুটি বাইকের সংঘর্ষের ৬ জন আহত হয়েছিলেন।নদিয়ার শান্তিপুর থানার হরিপুর রামনগরপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পূর্ব বর্ধমানের কালনা থেকে সরস্বতী ঠাকুর দেখে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় আহত হন একই পরিবারের চারজন-সহ অন্য দুই বাইক আরোহী। জানা যায়, ঘটনার দিন রাতে কালনা থেকে বাইকে করে পরিবার-সহ ঠাকুর দেখে ফিরছিলেন শান্তিপুর থানার পঞ্চাননতলা পাড়া এলাকার বাসিন্দা সমীর দত্ত। অভিযোগ, মোটরবাইকে করে আসার সময় দ্রুতগতির দুটি মোটরবাইক তাঁদের পিছন থেকে ধাক্কা মারে। চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। স্থানীয়রাই আহতদের শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অন্যদিকে দুই বাইক আরোহীকে রাতেই কৃষ্ণনগর শক্তিনগর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।


আরও পড়ুন, 'অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা পাচার', DRI-র জালে হাওড়ার বাসিন্দা-সহ ৩


একই দিনে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতেও একটি দুর্ঘটনা ঘটে। হাওড়া থেকে জয়নগর যাওয়ার পথে উল্টে যায় পিকআপ ভ্যান। তাতে ৬ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে তিন জন গুরুতর আহত হন। আহত তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। তার ঠিক আগে  বেহালার সরশুনায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। রায়দিঘির কাছে লরির ধাক্কায় মৃত্য়ু হয় এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, স্কুটারে স্বামীর পিছনে বসে যাচ্ছিলেন তিনি। আচমকা ভারসাম্য় হারিয়ে রাস্তার একদিকে পড়ে যান মহিলার স্বামী। ছিটকে গিয়ে পড়েন স্ত্রীও। সেই সময় তাঁর মাথার ওপর দিয়ে চলে যায় লরির চাকা। সীমা দাস নামে মৃত ওই মহিলার বয়স ৪৪। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।