পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: বাগুইআটি জোড়া খুনের ( Baguiati Double Murder Case)ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অবশেষে গ্রেফতার। হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে পাকড়াও করা হয়েছে।বাগুইআটি জোড়া খুনের দু’ সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও গতকাল অবধিও তাঁকে নাগালে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে এদিন গ্রেফতার হতেই মূল অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করলেন অতনুর মা। অতনুদের বাড়ি গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি (Adhir Chowdhury) । আবেদন জানিয়ে বললেন, 'পরিবারের সঙ্গে দেখা করুন মুখ্যমন্ত্রী।'
অতনুর বাড়িতে অধীর, মুখ্যমন্ত্রীকে কী অনুরোধ ?
এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, জানি না, এই অপহরণ করতে আগামী দিনে, আর কত নিষ্ঠুর ঘটনার সাক্ষী হতে হবে আমাদের ? কারণ আজকে একের পর এক রাজ যখন বন্ধ হচ্ছে, সিন্ডিকেটরাজ, বালিরাজ, কয়লারাজ, হয়তো আগামীদিনে অপহরণরাজও এবাংলায় দেখতে হতে পারে, যদি এখন থেকে এই বাংলার মানুষ সতর্ক না হয়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার দাবি, আপনি এই পরিবারের সঙ্গে দেখা করুন। এরা ঘরের মেয়ে বোন, আপনি এই পরিবারের সঙ্গে দেখা করুন। এদের বক্তব্য শুনুন। এবং দ্রুত এই খুনির শাস্তির ব্যবস্থা করুন। দিদি এরা , মা-মাটি-সরকারেরই একজন। আপনার অধীনে এরা বাংলার বাসিন্দা। মা-মাটি-মানুষের নেত্রী হয়ে এই পরিবারের মা-বোনদের জন্য একবার আপনার হৃদয়ের অনুভূতি ব্যক্ত করুন, দুঃখ প্রকাশ করুন। একবার তাঁদের আক্রোশ-ক্ষোভের কথা জেনে তাঁদের দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করুন। এটা আমার একান্ত আবেদন, অনুরোধ।
অতনুর দেহ উদ্ধার, পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন
উল্লেখ্য, ২৩ অগাস্ট ন্যাজাটে অতনুর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় অতনুর পচাগলা দেহ উদ্ধার হলেও কেন চুপ করে ছিল বসিরহাট থানা? কেন সেই কথা জানাল না বসিরহাট থানা? উঠছে সেই প্রশ্ন। পাশাপাশি অভিষেকের দেহ উদ্ধার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। হাড়োয়ায় ইট বাঁধা অবস্থায় অভিষেকের দেহ উদ্ধার হয়, সেখানে দেহ ভাসতে দেখা যায়। পরে দেখা যায় প্যান্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে সেই প্যান্টে ইঁট বেঁধে রাখা হয়েছিল। যাতে জলের তলায় যাতে ডুবে থাকে দেহ।এভাবে দেহ দেখেও কেন খুন বলে সন্দেহ হয়নি পুলিশের, প্রশ্ন ওঠে।
আরও পড়ুন, 'ওর ফাঁসি চাই', বাগুইআটি খুনে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হতেই বললেন অতনুর মা
বাগুইআটি জোড়া খুনের দু’ সপ্তাহ পরেও গতকাল অবধি অধরা ছিল মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। জানা গিয়েছিল, পরপর মেসেজ করেছে, তা সত্ত্বেও লোকেশন ট্র্যাক করা যায়নি। কারণ বারাবার সিম বদল করায়, লোকেশন ধরা যাচ্ছিল না বলেই দাবি করেছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরপরেই বাগুইআটিকাণ্ডে তদন্তে নামে সিআইডি-র হোমিসাইড শাখা। অবশেষে মিলল বড় সাফল্য।হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে।অবশেষে এদিন গ্রেফতার হতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন নিহত-র মা। বুজে আসা গলায় বললেন, অভিযুক্তের ফাঁসি চাই।