ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: মাঝরাতে আনন্দপুরের পানশালায় হামলা। ম্যানেজার-সহ কর্মীদের পেটানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পানশালার বাইরে বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় CC ক্যামেরা। পুরনো শত্রুতার জেরেই হামলা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। 


পানশালায় দুষ্কৃতী তাণ্ডবের অভিযোগ: কলকাতার বুকে বেনজির দুষ্কৃতী-দৌরাত্ম্য়। EM বাইপাসের মতো ব্য়স্ত রাস্তার ধারে, পানশালায় চড়াও হয়ে চলল তাণ্ডব। রেহাই পেল না পানশালার বাইরে রাখা গাড়িও। ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হল, একের পর এক গাড়ির কাচ। সোমবার গভীর রাতে, দুষকৃতী তাণ্ডবের এই ঘটনা ঘটেছে কলকাতার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপুরে, এক বার-কাম-রেস্তোরাঁয়। পানশালা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সোমবার রাতে ১০-১২ জন দুষকৃতীর দল লাঠিসোঁটা নিয়ে পানশালায় চড়াও হয়। সেখানে অবাধে ভাঙচুর চালায় তারা। ম্যানেজার ও কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পানশালার বাইরে দাঁড় করানো, বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় CC ক্যামেরাও।

পানশালা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, হামলা চালানো হয় সঞ্জয় দাসের নেতৃত্বে। তবে এতবড় দুষকৃতী তাণ্ডবের পরও, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন অত রাত অবধি পানশালা খোলা রাখা নিয়ে। তিনি বলেন, এত রাত পর্যন্ত পানশালা খোলা থাকবে কেন। নিয়ম মেনে কী চলছে? এটা দেখা উচিত। আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার দীপঙ্কর দাস ও মহেন্দ্রপ্রসাদ গুপ্ত নামে দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দু'জনেরই বাড়ি আনন্দপুর এলাকায়। কিন্তু, এই দুষ্কৃতী তাণ্ডবের কারণ কী? কারা এই দুষকৃতীরা? এরকম বেপরোয়াভাবে তাণ্ডব চালানোর সাহস তারা পেল কোথা থেকে? কলকাতার বুকে এই ঘটনা তুলে দিয়েছে এরকম একগুচ্ছ প্রশ্ন।                            


এদিকে ব্যারাকপুরে এবার তৃণমূল কাউন্সিলরের হাতে আক্রান্ত পুলিশ অফিসার। উর্দিধারী পুলিশকে মারধরের অভিযোগ ব্যারাকপুরের তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। সোশাল মিডিয়ায় হামলার ভিডিও পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। পুলিশের বিরুদ্ধে প্রথমে হামলার পাল্টা অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পডুন: Kolkata Metro: মেট্রো চড়েন? এই রুটে আরও বাড়ছে পরিষেবা