কলকাতা: বিজেপির মিছিলে (Nabanna Abhijan) মহিলাদের উপর পুরুষ কনস্টেবলদের 'অত্যাচার'-র অভিযোগ। বিষয়টি নজরে আনা হয়েছে, টুইট জাতীয় মহিলা কমিশনের। রিটুইট বিজেপির আইটি শাখার প্রধান অমিত মালব্য-র (Amit Malviya)।


এদিন অমিত মালব্য (Amit Malviya) বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশে, কলকাতা পুলিশের পুরুষ কনস্টেবলরা কীভাবে মহিলা প্রতিবাদীদের উপর অত্যাচার করেছে, বিষয়টি জাতীয় মহিলা কমিশনের নজরে আনা উচিত। কলকাতার কমিশনারকে ব্যাখ্যা দিতে হবে, কী কারণে উপযুক্ত প্রোটোকল মেনে চলা হল না।' জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা জানিয়েছেন, 'বিষয়টি নজরে আনা হয়েছে।' পাশাপাশি তিনি আরও বলেন,' এটাই প্রথমবার নয় যে, শাসকদলের হাতে পুতুলের মতো রোল প্লে করছে। এবং এটা সত্যিই দুঃখজনক, রাজ্য শাসন করছেন একজন মহিলা, তা সত্যেও মহিলারা অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছে।'






 এদিন দুপুরেও নবান্ন অভিযানকে ঘিরে শাসকদলকে তোপ দেগে একটি টুইট করেন অমিত মালব্য। তিনি বলেন,  মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এবং তাঁর পরিবারের রাজ্যের সম্পদের লাগামহীন লুঠের বিরুদ্ধে জেগে উঠছে বাংলা। নেতৃত্ব দিচ্ছে বিজেপি। মমতা এবং তাঁর স্বৈরাচারী শাসনকে ক্ষমতাচ্যুত করার এই আন্দোলন এখন গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। উনি কল্পনা করারও আগে তা হয়ে যাবে।' প্রসঙ্গত, আজ বিজেপির নবান্ন অভিযানের শুরুতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। প্রথমে সাঁতরাগাছিতে পুলিশের গার্ড রেল টপকানোর চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। এরপর পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় কাঁচের বোতল, ইট, পাথর এবং বাঁশ। গার্ড রেল ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয় পুলিশের কিয়স্ক। পাল্টা জল কামান ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। লাঠি উঁচিয়ে বিজেপি কর্মীদের তাড়া করে পুলিশ। রাস্তায় ফেলে মারা হয় এক বিজেপি কর্মীকে। অন্যদিকে, হাওড়া ময়দানের কাছে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেন বিজেপি কর্মীরা। 


আরও পড়ুন, লালবাজার থেকে ছাড়া হল শুভেন্দুকে, বিরোধী দলনেতাকে গোলাপের মালা পরালেন বিজেপি কর্মীরা


নবান্ন অভিযানে তোলপাড় হয় হাওড়া-কলকাতা। অবস্থান বিক্ষোভের মাঝেই সুকান্তদের প্রিজনভ্যানে তোলে পুলিশ। নবান্ন অভিযানের আগে শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করার প্রতিবাদে লালবাজারের সামনে বিক্ষোভে নামে বিজেপি।লাঠিচার্জ করে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের দিকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। যদিও এদিন সন্ধ্যায় শেষঅবধি লালবাজার থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।