কলকাতা:  ধোপে টিকল না পুলিশের সওয়াল, অরুণিমা-সহ ৩০জনেরই জামিন। এদিন জামিন পেয়ে বাইরে আসতেই সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া দিলেন অরুণিমা পাল (Arunima Pal)। তিনি এদিন সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের চাকরিগুলি চুরি গিয়েছে, এটা প্রমাণিত সত্য। আমরা ক্রিমিনাল নই, প্রমাণ হল', প্রতিক্রিয়া অরুণিমার।


এদিন অরুণিমা পাল বলেন, আজকে এটা প্রমাণিত হল, 'আমাদের এটা নৈতিক জয়। আমরা ন্যায্য, আমাদের নিয়োগ অনিবার্য।' এরপর তিনি 'মিডিয়া বন্ধুদের' উদ্দ্যেশ্যে বলেন,'আমি ব্যাক্তিগতভাবে কৃতজ্ঞ।' চাকরি চেয়ে পুলিশের কামড়, গ্রেফতারের পর ৩০ জনেরই জামিন ( Bail)। ৭দিন ধরে রোজ তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ কোর্টের (Court)। 'আক্রান্তই গ্রেফতার! এরা কি মাওবাদী? কোর্টে সওয়াল আইনজীবীর।‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশের কামড়, এটা মানুষের কাজ নয়। পুলিশের কামড়, হেনস্থা করেছে পুলিশ, মাথা ফাটিয়েছে। কামড়কাণ্ডে মেডিক্যাল রিপোর্টে কেন পুলিশের নাম নেই?’ ধৃতদের জামিন চেয়ে আন্দোলন ভাঙার চেষ্টার অভিযোগ আক্রান্তদের আইনজীবীর। ‘যে আক্রান্ত, তাঁর মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে, তারা কী শিখছে! সংগঠনকে চিহ্নিত করার কথা বলছে পুলিশ, এরা কি মাওবাদী? আক্রান্ত অরুণিমা পাল-সহ ৩০জনের জামিন চেয়ে সওয়াল আইনজীবীর। 


উল্লেখ্য, ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশের কামড়, এটা মানুষের কাজ নয়। পুলিশের কামড়, হেনস্থা করেছে পুলিশ, মাথা ফাটিয়েছে। কামড়কাণ্ডে মেডিক্যাল রিপোর্টে কেন পুলিশের নাম নেই? ধৃতদের জামিন চেয়ে আন্দোলন ভাঙার চেষ্টার অভিযোগ আক্রান্তদের আইনজীবীর। যে আক্রান্ত, তাঁর মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে, তারা কী শিখছে! সংগঠনকে চিহ্নিত করার কথা বলছে পুলিশ, এরা কি মাওবাদী? আক্রান্ত অরুণিমা পাল-সহ ৩০জনের জামিন চেয়ে সওয়াল করেন আইনজীবীর। ‘সরকারি কাজে বাধা, শিক্ষকরা শিক্ষকের মতো আচরণ করুন। আন্দোলনের নামে তাণ্ডব, পুলিশের কাজে বাধা দিলে, তাকে অপরাধই বলা হয়’ , ধৃতদের হেফাজতে চেয়ে পাল্টা সওয়াল সরকারি আইনজীবীর। ‘যে কামড়াল সেই হাসপাতালে ভর্তি, তাহলে ভাবুন কতটা বিষাক্ত, যে আহত তাকেই গ্রেফতার, যে কামড়াল সে হাসপাতালে ভর্তি!’ ধৃতদের জামিন চেয়ে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পাল্টা সওয়াল আইনজীবীর। করুণাময়ীতে মধ্যরাতে পুলিশি ‘অত্যাচারের’ প্রসঙ্গ তুললেন আক্রান্তের আইনজীবী।


আরও পড়ুন, টেট বিক্ষোভে আক্রান্তকে গ্রেফতারকাণ্ডে প্রতিবাদে পথে নামল কংগ্রেস


প্রসঙ্গত, সকালেই ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অফিস অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। সল্টলেকের করুণাময়ীতে জমায়েতের ডাক দেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশনেই বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। আটক বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী। এদিন চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঠেকাতে সল্টলেকের বিভিন্ন মেট্রো স্টেশন ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিয়ালদা স্টেশনেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। বিক্ষোভকারী সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বুধবার নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীর হাতে কামড় দিলেন পুলিশকর্মী! খাস কলকাতার বুকে ঘটল এই ঘটনা। যদিও কামড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশকর্মী। পুলিশের দাবি, যে পুলিশকর্মী চাকরিপ্রার্থীর হাতে কামড়ে দিয়েছেন, তাঁর হাতেও নাকি কামড়ে দিয়েছেন ওই আন্দোলনকারী।