কলকাতা: রাজ্য জুড়ে দুধের বিকল্প বেবি ফুডের(Baby Food) ঘোর 'সঙ্কট'। পাইকারি থেকে খুচরো দোকানে হঠাৎ 'উধাও' বিকল্প বেবি ফুড। বিকল্প বেবি ফুডের আকাল, হাসপাতালে (Hospital) স্যালাইনের ভরসায় বহু সদ্যোজাত। হাসপাতালে সদ্যোজাতদের নিয়ে বাবা-মায়ের ভিড়।
মূলত শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা যেহেতু গড়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগে, তাই তাদের খাবার নিয়েও যথেষ্ট ভাবনা চিন্তা করা হয়। এদিকে রাজ্যের অধিকাংশ শিশুই দোকানের বিকল্প বেবি ফুডের উপর নির্ভরশীল। আর এখানেই জটিলতা। যেহেতু ৪-৫টি সংস্থার মাধ্যমে বিদেশ থেকে আসে এই বিশেষ বেবি ফুড। তাই আমদানির জন্য লাগে কেন্দ্রীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিশেষ অনুমোদন। আমদানি সংক্রান্ত জটিলতা, ইংল্যান্ড-সুইৎজারল্যান্ডে আটকে কনসাইনমেন্ট। রাজ্য জুড়ে অ্যামাইনো অ্যাসিডযুক্ত মিল্ক পাউডারের আকাল। এদিকে এই বিকল্প বেবিফুডের থেকেই শিশুরা যাবতীয় পুষ্টি সংগ্রহ করে। তাঁদের হাড়-মজ্জা শক্ত করে । ইমিউনিটি গড়ে তোলে। কিন্তু আচমকা পাইকারি থেকে খুচরো দোকানে হঠাৎ 'উধাও' বিকল্প বেবি ফুড। আর যার জেরে কপালে ভাজ সদ্যোজাতদের মা-বাবাদের।
প্রসঙ্গত, তবে এর আগে আকাল না হলেও বেবি পাওডার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল দেশে। এবং সেই পাউডারও মূলত বাইরের উপরেই নির্ভরশীল। গত বছর দেশে জনসনের পণ্য নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। বেবি পাওডারে মাত্রাতিরিক্ত পিএইচ ব্যালেন্স থাকায় বাতিল করা হয় জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির বেবি পাওডারের লাইসেন্স। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মহারাষ্ট্র ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। আপনার শিশুর জন্য জনসনের পাওডার ব্যবহার করলে হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি। কোম্পানির বেবি পাওডারের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি পাউডারের লাইসেন্স বাতিল করে মহারাষ্ট্র এফডিএ। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, শিশুদের ওই পাউডারে পিএইচ-এর মান বাধ্যতামূলক সীমার উপরে রয়েছে। মান যাচাইয়ের পর এই তথ্য় ইতিমধ্য়েই প্রমাণিত হয়েছে। যার ফলস্বরূপ রাজ্যে পণ্যটির উৎপাদন ও বিক্রয় বন্ধ করে দেয় ওই রাজ্যের সরকার।
আরও পড়ুন, 'নন্দনের কমিটিতে কারা আছে, নাম জানতে চাই', 'প্রজাপতি' বিতর্কে মন্তব্য মিঠুনের
চলতি বছর থেকে বদলে যাবে কোম্পানির বেবি পাউডারের উপকরণ। এবার থেকে ভুট্টার মাড় ব্যবহার করা হবে ফার্মা কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের (Johnson And Johnson) বেবি পাউডারে (Baby Powder)। শীঘ্রই বাজারেও পাওয়া যাবে এই প্রোডাক্ট। মূলত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডায় এই পাউডার বিক্রি বন্ধ করার দু-বছর পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই ফার্মা জায়ান্ট। যদিও একে কেবল ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত বলেছে কোম্পানি। ইতিমধ্যেই জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে ৩৮,০০০ মামলা করেছেন মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, জনসনের প্রোডাক্টে অ্যাসবেস্টস নামের ক্ষতিকারক উপকরণ রয়েছে। যে কারণে মহিলারা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। যদিও এই অভিযোগে আমল দিতে নারাজ কোম্পানি। জনসনের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েক দশকের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই পণ্যগুলি ব্যবহার করা নিরাপদ।