পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতাঃ গয়না চুরির ঘটনায় (Bank theft Case)গ্রেফতার ব্যাঙ্কেরই কর্মী। হেলমেট পরে রাতভর ব্যাঙ্কেই লুকিয়েছিল চোর। সকালে ব্যাঙ্ক খুলতেই গয়না নিয়ে চম্পট। কড়েয়া থানা এলাকায় বেসরকারি ব্যাঙ্কে বন্ধকী গয়না চুরির ঘটনায় গ্রেফতার ব্যাঙ্কেরই কর্মী। ধৃত প্রবীর হালদার ইয়েস ব্যাঙ্কের পার্কসার্কাস শাখায় হাউসকিপার পদে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় আড়াই কেজি সোনার গয়না খোয়া গিয়েছে বলে কিছুদিন আগে ব্যাঙ্কের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নেমে গতকাল ব্যাঙ্কের হাউস কিপারকে গ্রেফতার করে লালবাজারের অ্যান্টি বার্গলারি শাখার পুলিশ (Lal Bazar)।


আরও পড়ুন, জগদ্দলে জুটমিলের শ্রমিককে শ্যুটআউট, খুনের পরপর বোমাবাজি


গ্রাহক সেজে ব্যাঙ্কে ঢুকে বন্ধক রাখা গয়না চুরির অভিযোগ, ২৪ ঘণ্টা পর চুরির ঘটনা নজরে এল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের


গ্রাহক সেজে ব্যাঙ্কে ঢুকে বন্ধক রাখা গয়না চুরির অভিযোগ। ২৪ ঘণ্টা পর চুরির ঘটনা নজরে এল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের। পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে গয়না চুরির অভিযোগ ঘিরে রীতিমতো ধন্দে পুলিশ। প্রায় আড়াই কেজি গয়না চুরি হয়েছে বলে দাবি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের।পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ, গ্রাহক সেজে হেলমেট ও মাস্ক পরে ব্যাঙ্কে ঢোকে চোর। ব্যাঙ্কে ঢুকে সকলের নজর এড়িয়ে শৌচাগারে লুকিয়ে পড়ে ওই দুষ্কৃতী। রাতে গ্রাহকদের বন্ধক রাখা গয়না চুরি করে মঙ্গলবার সকালে ব্যাঙ্ক খোলার পর ফের হেলমেটে মুখ ঢেকে বেরিয়ে যায় বলে অভিযোগ। 


কিন্তু কীভাবে সকলের চোখের সামনে থেকে গয়না নিয়ে পালাল দুষ্কৃতী?


বুধবার ব্যাঙ্কের নথি রাখার আলমারিতে রাখা গয়না উধাও হওয়ার ঘটনা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে বলে সূত্রের খবর। এরপরই কড়েয়া থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কীভাবে সকলের চোখের সামনে থেকে গয়না নিয়ে পালাল দুষ্কৃতী? গ্রাহকদের বন্ধক রাখা গয়না লকারে না রেখে কেন রাখা হয়েছিল নথি রাখার আলমারিতে? হেলমেট পরে ঢুকল কেউ নোটিস করল না। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীর সঙ্গে ব্যাঙ্কের কোনও কর্মীর যোগসাজশ রয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে কড়েয়া থানা সূত্রে খবর।