কলকাতা: গরুপাচারকাণ্ডের (Cattle Scam) তদন্তে নেমে ১১৫টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য় পঞ্চায়েতে জমা হওয়া নথি ব্য়বহার করে খোলা হয়েছিল অ্য়াকাউন্টগুলি (Fake Account)। করোনাকালে মাত্র ২ দিনে খোলা হয়েছিল ১১৫টি ভুয়ো অ্য়াকাউন্ট। এতগুলি অ্য়াকাউন্টের নথিতে সই করেছিলেন ব্য়াঙ্ক ম্য়ানেজার (Bank Manager)। গরুপাচার মামলার তদন্তে আদালতে এমনই বিস্ফোরক দাবি করল সিবিআই (CBI)। আর এই তথ্য দেখে কার্যত বিস্মিত বিচারকও (Justice)।


 গরুপাচারকাণ্ডে ১১৫টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টে সই ব্য়াঙ্ক ম্য়ানেজারের ! 


শুক্রবারই, বিভিন্ন ব্যাঙ্কে বেনামি ও ভুয়ো অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি আসানসোল আদালতে জমা দেয় সিবিআই। এদিন, বিচারক সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান, শেষ ১৪ দিনের তদন্তে কী কী তথ্য উঠে এসেছে? সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, 
 বেনামি ও ভুয়ো অ্য়াকাউন্টের ব্য়াপারে ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, অ্য়াকাউন্টের লেনদেনের ব্য়াপারে কিছুই জানেন না। ১২ জন টিপসই দিয়েছেন। তখন বিচারক জানতে চান, কবে ও কতদিন ধরে খোলা হয়েছিল অ্য়াকাউন্টগুলি?


ব্য়াঙ্ক ম্য়ানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ


উত্তরে, তদন্তকারী আধিকারিক জানান, করোনার সময়ে, মাত্র ২ দিনে পঞ্চায়েতে জমা হওয়া নথি ব্য়বহার করে ১১৫টি অ্য়াকাউন্ট খোলা হয়েছিল। এরপর বিচারক জানতে চান, এনিয়ে ব্য়াঙ্ক ম্য়ানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? সিবিআইয়ের দাবি, ম্য়ানেজার উত্তরে জানান, তিনি সই করেছেন মাত্র। এতেই বিস্মিত হয়ে বিচারকের প্রশ্ন, ২ দিনে ১১৫টি অ্য়াকাউন্টের নথিতে সই ম্য়ানেজারের অস্বাভাবিক লাগেনি? এরপর, সিবিআই জানায়, ৪টি অ্য়াকাউন্ট থেকে ভোলে ব্য়োম রাইস মিলের অ্য়াকাউন্টে টাকা গেছে। 


অনুব্রত ঘনিষ্ঠ রাজীব ভট্টাচার্যের অ্য়াকাউন্টে গেছে ৬৬ লক্ষ টাকা


অনুব্রত ঘনিষ্ঠ রাজীব ভট্টাচার্যের অ্য়াকাউন্টে গেছে ৬৬ লক্ষ টাকা। এরপরই এই মামলায় অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ফের জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় আবেদন জানায় সিবিআই। পাশাপাশি, ইলামবাজারের পশু হাটের দালাল, গরুপাচারকাণ্ডের অন্য়তম অভিযুক্ত আব্দুল লতিফকেও পলাতক ঘোষণার আর্জি জানানো হয়।


আরও পড়ুন, 'অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা পাচার', DRI-র জালে হাওড়ার বাসিন্দা-সহ ৩


কাদের গোপন জবানবন্দি নিতে সিবিআইকে নির্দেশ ?


এর প্রেক্ষিতে বিচারক জানান, আসানসোল জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাদাবাদ করতে পারবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর তিহার জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে, সায়গল হোসেনকে। পাশাপাশি, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট যাঁদের নামে খোলা হয়েছে তাঁদের গোপন জবানবন্দি নিতে সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারক।