কলকাতা:  কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে বিধানসভায় সরকারি প্রস্তাব আনার ইস্যুতে শাসকদলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) । মূলত, পুজোর (Durga Puja 2022)মুখে ছাতু, নারকেল তেলের বিজ্ঞাপনী ব্যানার পড়ার আগেই, এশহর এবার দেখেছে রাজ্যের শাসকদলের বিরাট বড় ব্যানার। বক্তব্য স্পষ্ট, ইডি-সিবিআইকে দিয়ে এভাবে ভয় দেখানো যাবে না। কিন্তু এমন ব্যানার কেন ?  একুশের বিধানসভায় (Assembly Election 2021) বিপুল জয়ের রেশ উসকে দিয়েছে একের পর এক পুরভোটে (Municipal Election)। বাইশটা সুন্দর শুরু হলেও গ্রাফ আর তীর্যক যায়নি তৃণমূলের। কারণ ততক্ষণে ময়দানে বিরোধীদের পাশাপাশি ববিতা সরকার। চলতি বছরে শাসকদলের (TMC) একাধিক হেভিওয়েটের রাত ঘুম কেড়েছে, অন্যতম সেই মামলা, নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam)। এছাড়াও আছে আরও একাধিক দুর্নীতির মামলা। তবে ইস্যুটা হল, বগটুই থেকে শুরু করে একাধিক মামলায় রাজ্যের তরফে সিট গঠন করা হলেও তা সুদুরপ্রসারি হয়নি।


'কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে বিধানসভায় সরকারি প্রস্তাব আনার ইস্যুতে বিরোধীতা করবে বিজেপি'


হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে একের পর এক মামলায় সিট-কে সরিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (ED, CBI) হাতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তারপরেই গ্রেফতার হয়েছেন, শাসকদলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল-সহ একাধিক। এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআইয়ের অতি সক্রিয়তা নিয়ে বিধানসভায় সরকারি প্রস্তাব আনতে চলছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কীভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা তুলে ধরা হবে প্রস্তাবে। আজকের আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অংশ নিতে পারেন, এমনই খবর বিধানসভা সূত্রে। তবে 'কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে বিধানসভায় সরকারি প্রস্তাব আনার ইস্যুতে বিরোধীতা করবে বিজেপি', কী বলছেন  দিলীপ ঘোষ ? 


আরও পড়ুন, দোরগড়ায় পুজো, ডেঙ্গির মশাদের প্যান্ডেল হপিং রুখতে কী পদক্ষেপ কলকাতায় ?


তৃণমূলের দাদাগিরি শেষ, কে কখন ঢুকে যাবে ঠিক নেই, তাই বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করাবে : দিলীপ ঘোষ 


এদিন দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'তৃণমূলের সমস্ত দাদাগিরি শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন গোয়ালে ঢুকে গিয়েছে। এখন আর রাস্তায় আন্দোলন নেই। কারণ কে কখন ভিতরে যাবে ঠিক নেই। সেই জন্য, ওই মেজোরিটি আছে, বিধানসভায় একটা প্রস্তাবে আনবে, তাতে কী যায় আসে গণতন্ত্রের অপমান হচ্ছে।আমরা বিজেপি দলের হয়ে আছি বিধানসভাতে, আমরাও পুরো শক্তি দিয়ে তার বিরোধীতা করব। নেই কাজ, তো খই ভাজ। এখন তাই হচ্ছে। কিচ্ছু করে না, না চাকরি, না উন্নয়ন, নিত্য নতুন নেতা ফেঁসে যাচ্ছে, এখন অস্তিত্ব রাখার লড়াই।'