কলকাতা: চাকরিহারা গ্রুপ সি কর্মীরা স্কুলে ঢুকতে পারবেন না। নিয়োগে বেলাগাম দুর্নীতি (Recruitment Scam), নবম-দশম, গ্রুপ ডির পরে এবার গ্রুপ সি তে কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল। চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (HC Justice Abhijit Ganguly)। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গ্রুপ সি-তে চাকরি পেয়েছিলেন ২০৩৭ জন। আর এবার গ্রুপ সি তে কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। মূলত ওএমআর শিট বিকৃত করার অভিযোগেই এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। আর এই ইস্যুতেই স্পষ্ট করা হল, 'চাকরিচ্যুতদের কেউ স্কুলে ঢুকতে পারবেন না , স্কুলের জিনিসেও হাত দিতে পারবেন না।'


স্কুলে গ্রুপ সি-তে কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের। ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কালকের মধ্যেই চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। আগামীকাল বেলা ১২ টার মধ্যে সুপারিশপত্র বাতিল করবে কমিশন। আগামীকাল বিকেল ৩টার মধ্যে নিয়োগপত্র বাতিল করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ৭৮৫ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করার নির্দেশ।  বাকি ৫৭ জনকে কোনও সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়নি, জানাল এসএসসি। ১০ দিনের মধ্যে ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ হাইকোর্টের।  'র‍্যাঙ্ক জাম্প-সহ অন্য দুর্নীতির কারণে ওয়েটিং লিস্টে থাকলে, কাউন্সেলিংয়ে নয়।'



২৫ মার্চের মধ্যে কাউন্সেলিং শেষ করার নির্দেশ হাইকোর্টের। গ্রুপ সি-তে নিযুক্ত ৪১.৩৩ শতাংশের চাকরিই বাতিল করল হাইকোর্ট। ২০১৬ র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গ্রুপ সি-তে চাকরি পান ২০৩৭ জন, চাকরি গেল  ৮৪২ জনের। 'চাকরিচ্যুতদের কেউ স্কুলে ঢুকতে পারবেন না, স্কুলের জিনিসে হাতও দিতে পারবেন না'। গ্রুপ সি-তে ৮৪২জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। চাকরিচ্যুতদের বেতন ফেরতের বিষয় নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত, জানাল হাইকোর্ট।


নিয়োগে বেলাগাম দুর্নীতি


গ্রুপ সি-তে ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল
গ্রুপ ডি-তে ১ হাজার ৯১১ জনের চাকরি বাতিল
প্রাথমিকে ২৫২জনের চাকরি বাতিল
নবম-দশমে ৬১৮জনের চাকরি বাতিল


আরও পড়ুন, বিচারপতির বাড়িতে পোস্টারকাণ্ডে এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা, রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের


আগেও চাকরি বাতিল


ধাপে ধাপে এর আগেও একাধিকবার চাকরি বাতিল হয়েছে, এর আগে প্রথমে গ্রুপ ডি, তারপর নবম-দশমের শিক্ষক (Teachers Sacked)। প্রথম ধাপে ৬১৮ জন, তারপর আরও ১৫৭ জন 'অবৈধ' শিক্ষকের চাকরি গেল। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে অবৈধ শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করে তাঁদের চাকরি যাওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে। এই তালিকায় বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক 'অবৈধ' শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের ভিত্তিতে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল বলেই জানানো হয়েছে।