কলকাতা: 'নিয়োগ দুর্নীতি'-র (Reqruitment Scam) মধ্যেই আজ প্রাথমিক টেটের ফল (Primary TET) প্রকাশ হয়েছে। এদিন বিকাশভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন, বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীদের ভরসা দিতে পর্ষদ একাধিক যুগান্তকারী একাধিক পরিবর্তন এনেছে।নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে সচেষ্ট রাজ্য সরকার।'
এদিন কুন্তলের প্রসঙ্গও ওঠে সাংবাদিক বৈঠকে, কাকে দালাল বললেন ব্রাত্য ?
তিনি আরও বলেন, 'যার মধ্যে আমি এখন কয়েকটা উল্লেখ করব। পরীক্ষার্থীদের যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ প্রাথমিক পর্ষদের এক উদ্ভাবনী ভাবনা। বলা যেতে পারে স্বচ্ছতা অর্জনের ক্ষেত্রে রাজ্যের এক অন্যতম প্রচেষ্টা। পর্ষদ শুধুমাত্র ওএমশিটের অরিজিনাল নিজেদের কাছে কপি নিজেদের কাছে রেখেছিল। এটাও একটা রাজ্যে শিক্ষা পদ্ধতিতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ।' উল্লেখ্য, ফলপ্রকাশের পর ওয়েবসাইটে জানা যাবে ৬ লক্ষ ২০ হাজার পরীক্ষার্থীর রেজাল্ট। টেটে প্রথম হয়েছেন বর্ধমানের ইনা সিংহ। দ্বিতীয় হয়েছেন চারজন দ্বিতীয় হয়েছেন মৌনিশা কুণ্ডু, মেঘনা চক্রবর্তী, দীপিকা রায়, অদিতি বসুরায়। এক থেকে দশের মধ্যে রয়েছেন ১৭৭ জন।
কোনওরকম কালনাগিনী ঢোকার উপায় নেই : শিক্ষামন্ত্রী
এদিকে এদিন কুন্তলের প্রসঙ্গও ওঠে সাংবাদিক বৈঠকে। কিছুদিন আগেই কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে ওমআরশিট পাওয়া গিয়েছে। এরপরেই ব্রাত্য বসু বলেন, 'এখানে খুব ভাল করে ব্যাপারটা বুঝতে হবে আপনাদের। পর্ষদ পরীক্ষা নিয়েছে , আপনি পরীক্ষা দিয়েছেন। পর্ষদের কাছে একটা কপি আছে, আপনি পরীক্ষার্থী আপনার কাছে একটা কপি আছে। আপনি যদি সেই কপি দেন, কোনও দালাল বা দুষ্ট চক্রকে, তার দায় সরকারের নয় পর্ষদেরও নয়। কোনও দালালের ফাঁদে যদি পা দেন, তাহলে আপনারও সম অপরাধ। আপনি কোনও রকম এমন প্ররোচনায় পা দেবেন না। আপনি কেবলমাত্র নিজের শ্রমের উপর আস্থা রাখুন। কোনও রকম কোনও ছিদ্র, কোনওরকম কালনাগিনী ঢোকার উপায় নেই। লক্ষ্মীন্দরের বাসরঘরের মতো, ত্রুটি সামলে পর্ষদ পরীক্ষাটি নিয়েছে।'
আরও পড়ুন, '৩ সপ্তাহের মধ্যে বাতিল হওয়া আড়াই হাজার পদে নিয়োগ', গ্রুপ ডি মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের
নিয়োগ-দুর্নীতিতে পরতে পরতে জালিয়াতির অভিযোগ কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে
প্রসঙ্গত, নিয়োগ-দুর্নীতিতে পরতে পরতে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে। সিবিআই সূত্রে দাবি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে নাম দেখিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা নিতেন কুন্তল। টাকা নিয়ে পর্ষদের ওয়েবসাইটে উত্তীর্ণ দেখানোর পরে উধাও হয়ে যেত সেই চাকরিপ্রার্থীদের নাম। কীভাবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে ফেল করা চাকরিপ্রার্থীদের নাম আপলোড? তবে কি ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে চাকরিপ্রার্থীদের নাম আপলোড করে প্রতারণা করতেন কুন্তল? নাকি এটা পর্ষদের একাংশের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ? জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। সিবিআই তদন্তে উঠে আসা ২০১৪-র টেটের ভুয়ো রেজাল্টের সেই কপি এসেছে এবিপি আনন্দের হাতে।