কলকাতা: সোমবার তাপস-কুন্তল-নীলাদ্রি-শাহিদ ইমাম-সহ ৭ জনকে আদালতে পেশ (Requitement Scam)। ৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা শাহিদ ইমাম নিয়েছে বেআইনি চাকরির নামে, এমনটাই দাবি সিবিআই-এর (CBI)। টাকা কোথায় গেল, কার থেকে নেওয়া হল সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অভিযুক্তদের হেফাজতে নিতে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই।  ১ জন নন, ৩ জন গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে চান, বলে আবেদন আইনজীবীর।


শাহিদ ইমাম, আলি ইমাম,কৌশিক ঘোষ গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে চান। আবেদন জমা দিতে সিবিআই-কে নির্দেশ বিচারকের। টাকা কোন কোন প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছেছে তা খুঁজে বার করা হচ্ছে। আদালতে কুন্তল-তাপস-নীলাদ্রিকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা সিবিআই-র। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে গ্রেফতার হয়েছেন তাপস মণ্ডল। এদিন তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল গ্রেফতার। শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাপস মণ্ডলকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। গ্রেফতার তাপস মণ্ডল ও নীলাদ্রি ঘোষ। কুন্তলের মুখে বারবার উঠে এসেছিল তাপস মণ্ডস ও নীলাদ্রি ঘোষের নাম। 'তদন্তে সহযোগিতা করছি, কেন গ্রেফতার করল জানি না।', গ্রেফতারির পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন তাপস। তাপসকে বাইরে রাখলে তদন্ত প্রভাবিত হচ্ছে। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করেছিলেন কুন্তল ঘোষ। তারপরেই গ্রেফতার করে সিবিআই।


আরও পড়ুন, 'DA বাড়বে না', বিস্ফোরক মন্তব্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের


উপেন বিশ্বাস বর্ণিত বাগদার 'সৎ রঞ্জন' ওরফে চন্দন মণ্ডলকে গ্রেফতারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে গ্রেফতার করল সিবিআই। একইসঙ্গে এদিন গ্রেফতার করা হয়, নীলাদ্রি ঘোষকেও। CBI-এর দাবি, তদন্তে সহযোগিতা করলেও, নিজের বিষয়ে তথ্য লুকোচ্ছিলেন তাপস মণ্ডল। নিজের উপর থেকে দায় ঝাড়ার চেষ্টা করছিলেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, তাপস মণ্ডলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও লেনদেন সংক্রান্ত নথি দেখে বোঝা গেছে মিথ্য়ে বলছেন তিনি। প্রামাণ্য নথি এবং পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণের সঙ্গেও বয়ানে ফারাক রয়েছে তাপস মণ্ডলের। এমনকি, তদন্তকেও বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এই তাপস মণ্ডলের মুখেই প্রথম কুন্তল ঘোষের নাম শোনা যায়। এরপরই কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তোলেন কুন্তলও।  গ্রেফতারির পরে তাপস মণ্ডল বলেন, 'কেন করল জানি না। কেন করল বুঝতে পারছি না। সহযোগিতা এখনও করছি। আমি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছি। এখন সে তো করবেই।'