কলকাতা: চিটফান্ড মামলায় এবার বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীকে (TMC Leader Subodh Adhikari) তলব। বেলা ১২টায় সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে নির্দেশ সিবিআই-এর (CBI) । সূত্রের খবর, গতকাল নোটিস পাঠানো হয়েছে বীজপুরের বিধায়ককে। বেশ কিছু নথি নিয়ে তলব করা হয়েছে সুবোধ অধিকারীকে।
চিটফান্ডকাণ্ডে সিবিআইয়ের নজরে আসেন বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। সুবোধ অধিকারীর একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাটে হানা দেয় সিবিআই আধিকারিকরা। একাধিক বিলাসবহুল আবাসনে ফ্ল্যাট সুবোধ অধিকারীর। হালি শহরে সুবোধের বাড়ি ছাড়াও কলকাতায় ৩টি ফ্ল্যাটে হানা। টালা পার্ক, পাইকপাড়া ও লেক টাউন ফ্ল্যাটে তল্লাশি সিবিআইয়ের। বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর সহায়ক অভিজিৎ শিকদারের বাড়িতেও অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত, হালিশহরের পুরপ্রধান রাজু সাহানির (Raju Sahani) গ্রেফতারির পরই সুবোধের বাড়িতে তল্লাশি চলে। রাজুকে গ্রেফতারের পর চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে গোয়েন্দাদের নজরে আসেন সুবোধ। নজরে সুবোধের ভাই কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারীও। তাঁদের পৈতৃক বাড়ি হালিশহরের জেটিয়ায়। এদিন সেখানে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে রাজুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করলেও চিটফান্ড-যোগ অস্বীকার করেছেন কমল। চিটফান্ডকাণ্ডে যুক্ত নন বলে দাবি করেছেন। সিবিআই সূত্রে দাবি, সানমার্গ চিটফান্ডকাণ্ডে (Chit Fund) কলকাতায় ৩টি এবং হালিশহর, জেটিয়া, কাঁচরাপাড়া মিলিয়ে মোট সাতটি জায়গায় তল্লাশি চলছে। তল্লাশি চলছে তৃণমূল বিধায়কের অফিস মঙ্গলদীপ ভবনেও। সিবিআইয়ের তল্লাশি চলাকালীন সেখানে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা।
আরও পড়ুন, প্রদীপ, প্রসন্ন-র পর ইডির নজরে আরও ১
অপরদিকে, একাধিক মামলায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের হেভিওয়েটদের। এদিকে আজই ভোট-পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের অভিযোগে দ্বিতীয়বার সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি পরেশ পাল। সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে আইনজীবীকে নিয়ে হাজিরা বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়কের। উল্লেখ্য, ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের মামলায় এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি পরেশ পাল। সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে আইনজীবীকে নিয়ে হাজিরা বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়কের। সিবিআই সূত্রে খবর, বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের সময় কোথায় ছিলেন, কোন সময় খবর পান, যাদের ছবি ভিডিও-তে আছে, তাদের চেনেন কি না, অভিজিতের পরিবারের তোলা উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে তাঁর কী বক্তব্য, এসবই পরেশ পালের কাছে জানতে চাওয়া হবে।