কলকাতা: মিড ডে মিল প্রকল্পের  (Midday Meal Project) হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে ৮ দিনে ৮ জেলায় ঘুরলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা (Central Team)। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা। পরিদর্শনের পর ফের বিকাশ ভবনে বৈঠক করলেন জয়েন্ট রিভিউ মিশনের প্রতিনিধিরা। দ্রুত রিপোর্ট দেবেন তাঁরা।


 মিড ডে মিলের বাস্তবায়ন খতিয়ে দেখতে ৮ দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এরপর সোমবার বিকাশ ভবনে বৈঠক সারলেন জয়েন্ট রিভিউ মিশনের প্রতিনিধিরা। রাজ্যে মিড ডে মিল নিয়ে সামনে এসেছে একাধিক অভিযোগ। কোথাও মিড ডে মিলের মধ্য়ে মিলেছে সাপ। কোথাও ড্রামে পাওয়া গেছে মরা ইঁদুর। কোথাও খিচুড়ির মধ্য়ে টিকটিকি মেলার অভিযোগ। আর ঠিক এই প্রেক্ষাপটেই মিড ডে মিলের বাস্তবায়ন খতিয়ে দেখতে ২৯ জানুয়ারি রাজ্য়ে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। মিড মিলের সুবিধা কারা পাচ্ছে ? রাজ্য সরকার স্কুলগুলিকে কীভাবে টাকা পাঠাচ্ছে ? যে টাকা  স্কুলগুলিতে বরাদ্দ হচ্ছে, তা কতটা কার্যকরী হচ্ছে ? মিড ডে মিলের পরিকাঠামো কেমন ? রান্নাঘরের কী অবস্থা ? ছাত্র-ছাত্রীরা পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে কি না ? খাবার পরীক্ষা হয় কিনা ? গত ৮ দিনে ৮ জেলার ৩০টি স্কুলে  রাজ্য় সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে, তারা খতিয়ে দেখেন। 


সম্প্রতি মিড মিলের ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'যুগ যুগ থেকে মিড মিলের টাকা লুঠ হয়েছে। পড়ুয়ার সংখ্যা কেন্দ্রকে যা দেখানো হয়, তার থেকে কম পড়ুয়া মিড ডে মিল-র সুবিধা পায়।' সম্প্রতি,  কেন্দ্রীয় দলের অনুসন্ধানে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে।রাজ্যে মিড মিলের খতিয়ান দেখার দিনেই  চন্দ্রকোণায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিলের খিঁচুড়িতে মিলেছে আরশোলা। এমনই অভিযোগ ধামকুড়িয়ার এক বাসিন্দার। বাড়িতে গিয়ে টিফিন বক্সে নেওয়া মিড ডে মিলের খিচুড়িতে আরশোলা পড়ে থাকার অভিযোগ। খবর দেওয়া হয় ধামকুড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে, বাকি শিশুদের খাবার খেতে নিষেধ। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন চন্দ্রকোণা ২ নং ব্লকের জয়েন্ট বিডিও। 


 আরও পড়ুন, 'যোগ্য নেত্রী বলেই ডি-লিট পেয়েছেন মমতা', টুইট শুভেন্দু-সুজনের


রাজ্যে মিড ডে মিল দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে সত্য অনুসন্ধানে, তাঁদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে, যারা সত্যকে লুকোতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। রাঁধুনিদেরও এতে সামিল করা হয়েছে। তাদের বেতন ও ইনসেন্টিভ সময়ের আগেই দেওয়া হচ্ছে। এটা পশ্চিমবঙ্গ। যদি পড়ুয়াদেরও হুমকি দেওয়া হয়, অবাক হব না। মিড ডে মিলের অনুসন্ধানে কেন্দ্রীয় দলকে কয়েকটি বাছাই করা স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য় সরকারি আধিকারিকরা, অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। হাতেনাতে ধরতে আগাম খবর না দিয়ে যে কোনও স্কুলে যাওয়া উচিত।' 'কেন্দ্রের দেওয়া মিড-ডে মিলের ফান্ড থেকে বগটুই হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য রাজ্যের' বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা।