পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতাঃ ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের গ্রেফতারের ঘটনায় ভিনরাজ্যে তদন্তে গিয়ে ফের বাধার মুখে সিআইডি (CID)। সূত্রের খবর, গুয়াহাটির ব্যবসায়ী অশোক ধানুকাকে নোটিস ধরাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন সিআইডি অফিসাররা। সিআইডি-র দাবি, ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন গুয়াহাটির ওই ব্যবসায়ী। বাড়িতে ঢুকতে না পেরে, স্থানীয় থানায় নোটিস দিয়ে আসেন সিআইডি-র অফিসাররা। আগামীকাল সোমবার সিআইডি-র সদর দফতর ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছে গুয়াহাটির ওই ব্যবসায়ীকে (Guwahati's Businessman)।
উল্লেখ্য, হাওড়ায় ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়কের গাড়িতে বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধার করা হয়। পাঁচলা-রানিহাটি মোড়ে কংগ্রেস বিধায়কের বোর্ড লাগানো গাড়ি আটকাতেই ওই নোটের বান্ডিল ধরা পড়ে। ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ককে প্রথমে আটক করা হয়। টাকা গোনার জন্য আনা হয় মেশিন। ওই ৩ কংগ্রেস বিধায়ক হলেন রাজেশ কচ্ছপ, নমন বিক্সল কোঙারি এবং ইরফান আনসারি। রাজেশ কচ্ছপ ঝাড়খণ্ডের খিজরি, নমন বিক্সল কোঙারি কোলেবিড়ার বিধায়ক। গাড়িতে লাগানো জামতাড়ার কংগ্রেস বিধায়ক ইরফান আনসারির নামে বোর্ড। কোথায় ওই বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? তদন্তে নামে রাজ্যের গোয়েন্দারা। বিপুল পরিমাণ ওই নগদ অর্থের কোনও নথি দেখাতে পারেননি অভিযুক্তরা বলে দাবি পুলিশের। তবে এত টাকার উৎস কোথায় ? খতিয়ে দেখেন তদন্ত আধিকারিকরা। এরপরেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে।
আরও পড়ুন, 'বোরোলিন মেখে চলি', সেন্সর ইস্যুতে বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ
সিআইডি-র দাবি, ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন গুয়াহাটির ব্যবসায়ী অশোক ধানুকা। এরপরেই অসমে রওনা হন রাজ্যের তদন্তকারী গোয়েন্দারা। গুয়াহাটির ওই ব্যবসায়ীকে নোটিস ধরাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন সিআইডি অফিসাররা। ব্যবসায়ীর বাড়ির চারপাশে ছিল অসম পুলিশের পাহারা। অভিযোগ, সিআইডি আধিকারিকদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এছাড়াও, সিআইডি-র গাড়িকে অনুসরণ করছিল অসম পুলিশ। এরপরে কোনওভাবেই ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢুকতে না পেরে স্থানীয় থানায় নোটিস দিয়ে আসেন সিআইডি-র অফিসাররা। তবে রাত পেরোলেই হাজিরা দিতে হবে গুয়াহাটির ব্যবসায়ীকে। কারণ আগামীকাল গুয়াহাটির ব্যবসায়ী অশোক ধানুকাকে সিআইডি-র সদর দফতর ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছে।