কলকাতা: কৌস্তভ বাগচী (Kaustav Bagchi Arrested) গ্রেফতারকাণ্ডে বিক্ষোভ কংগ্রেসের। মূলত সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের জয়ের পর অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর। তার জেরে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ও অবসরপ্রাপ্ত IAS অফিসার দীপক ঘোষের লেখা বই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলনেত্রীকে পাল্টা আক্রমণের পরেই, আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করল বড়তলা থানার পুলিশ। কৌস্তভ বাগচী গ্রেফতার হতেই বড়তলা থানার সামনেই বিক্ষোভ শুরু কংগ্রেসের (Congress)। 


প্রসঙ্গত, সাগরদিঘির ফলপ্রকাশের (Sagardighi By ELection Result) পরই অধীর চৌধুরীকে (Adhir Chowdhury) আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। প্রশ্ন তোলেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মেয়ে ও গাড়িচালকের মৃত্য়ু নিয়ে। এবার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ও অবসরপ্রাপ্ত IAS অফিসার দীপক ঘোষের লেখা বই নিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে পাল্টা আক্রমণের কৌশল নিল কংগ্রেস (Congress)।


তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'এত বড় বড় কথা বলছে। তার মেয়ের আত্মহত্য়া নিয়ে আমি যদি জিজ্ঞেস করি, কিছু বলতে পারবে? 'তিনি আরও বলেন, 'তাঁর গাড়ির ড্রাইভারের আত্মহত্য়া, খুন নিয়ে যদি আমি বলি জোড়া খুন, কিছু বলতে পারবে? অনেক ঘটনা আমি জানি, আমার মুখ খোলাবেন না।' এরপরেই কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী বলেন, 'রাজনৈতিক দেউলিয়া হয়ে গেছে একটা নির্বাচনে হেরে। তাই এই মন্তব্য। কংগ্রেসও ছেড়ে কথা বলবে না। অধীর চৌধুরী বারণ করেছিলেন এ নিয়ে বলতে। চুপ থাকব না। দল থেকে যদি তাড়িয়েও দেয়, তাও না।' 


 তৃণমূল সুপ্রিমোর জবাবে এবার পাল্টা কৌশল নিল প্রদেশ কংগ্রেস। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে নিয়ে, প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ও অবসরপ্রাপ্ত IAS অফিসার দীপক ঘোষের লেখা বইয়ের সফট কপি, ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এরপরেই কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী বলেন, 'দুটো whatsapp নম্বর দিয়েছি। দীপক ঘোষ মমতাকে নিয়ে যা লিখেছিলেন, তার সফট কপি চাইলেই যে কেউ পাবে। হুমকি ফোন আসছে। কোনও কিছু হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী থাকবে।'


আরও পড়ুন, 'হোয়াটস অ্যাপ করলেই দীপক ঘোষের লেখা বই' মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণের পরেই কৌস্তভের বিরুদ্ধে কোন কোন ধারায় অভিযোগ ?


একটা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন।আর সেই ফলকে ঘিরেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।  আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের মাঝেই এবার তা অন্য মাত্রা পেল। ২১-এর বিধানসভা ভোটে, ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী সাগরদিঘি আসনটি। মূলত উপনির্বাচনে তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বাম-কংগ্রেসের জোট। ফলপ্রকাশের পরেই  বহরমপুরের সাংসদ ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, অধীর চৌধুরীকে আক্রমণের পথে হেঁটেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  শিয়রে কি সাগরদিঘির 'ছ্যাঁকা' ? বদলাল রাজনীতির গ্রাফ ? ব্যাক্তিগত আক্রমণই কি দাড়িপাল্লায় পাল্লা ভারী করল ? প্রশ্নে বিতর্কের ঝড় রাজনৈতিক মহলে।