কলকাতা: দীর্ঘ দোলাচাল শেষে দোলের দিনই দিল্লিতে (Delhi) নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অনুব্রত-কে (Anubrata Mandal)। আর অনুব্রত-কে দিল্লি নিয়ে যাওয়া নিয়ে যাওয়া নিয়েই কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তবে এদিন তিনি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাসকদলকেও টুইটে তোপ দাগতে ছাড়েননি তিনি। এবিপি-কে জানালেন নিজের প্রতিক্রিয়া। বললেন, 'দিল্লিতে লস্যি খাবেন' অনুব্রত। 






প্রসঙ্গত, কখনও ‘বীর’, কখনও ‘বেচারা’। প্রথম থেকেই পার্থ-র পাশে না থাকলেও, জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে থাকতে দেখা গিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে। তারপর লোকসভা ভোট। কিন্তু, বীরভূমে তৃণমূলের ভোট-ম্যানেজার অনুব্রত মণ্ডল এখন গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি। তবে, দলনেত্রী সেই গোড়া থেকেই অনুব্রত মণ্ডলের পাশে। আর এবার সেই অনুব্রতকেই দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আর এদিন টুইটে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বীরভূমের ডাকাত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'বীর'কে টানতে টানতে সিবিআই-ইডি নিয়ে গেল, গুণ্ডা ভাইদের সাহস হল না আটকানোর।' 


পাশাপাশি এদিন এবিপি-কে অনুব্রত-র দিল্লি যাত্রা ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, একটা জিনিস কদিন ধরে আলোচনা হচ্ছিল যাবেন কি, যাবেন না, আমি বলেছিলাম, আমাদের সংবিধান, আমাদের বিচারব্যবস্থার মধ্যে সেই ক্ষমতা আছে। যে একজন এরকম অপরাধীকে নিয়ে যাবে দিল্লিতে, এবং তদন্তে তাঁকে সহযোগিতা করতে হবে। সাধরণ মানুষের যে আস্থা আছে, সেটা প্রমাণিত হবে। আমরা প্রথম থেকেই বলেছিলাম কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথা। কারণ প্রথম থেকেই পুলিশের সঙ্গে তার ভাল সম্পর্ক' বলে কটাক্ষ করেন তিনি। মূলত গতকালই দিল্লি যাত্রার জট কেটে গেছিল। সকাল ৬.৪০-এ কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় আসানসোল জেল থেকে বার করা হল অনুব্রত মণ্ডলকে। জেল থেকে বেরোনর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ খোলেননি অনুব্রত মণ্ডল।


আরও পড়ুন, শারীরিকভাবে 'ফিট' অনুব্রত, বিমানবন্দরের পথে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি


একদিকে যখন লস্যি নিয়ে বার্তা দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ, তখন অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাওয়ার ইস্যুতে গুড়-বাতাসা বিলি করলেন বিজেপি সাংসদ অনুপম হাজরা। অনুব্রতকে অনুপমের পরামর্শ, 'অনুব্রতর পিঠে চড়াম চড়াম ঢাক বাজালেই হাঁড়ির খবর বেরোবে। এখনও সুযোগ আছে, রাজসাক্ষী হয়ে যান। এখনও সুযোগ আছে, রাজসাক্ষী হয়ে যান।'