রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই।  এই প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (BJP Leader Dilip Ghosh) বলেন, 'আরও অনেকে মিসিং হবেন। আরও অনেকে গায়েব হয়ে যাবেন।' তাঁর কটাক্ষ, 'সিবিআই যত হাত বাড়াবে, তত পাড়ায় পাড়ায় গায়েব বাড়বে।' এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের (Subiresh Bhattacharya) বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। সেই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, 'সবাই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।'


মূলত, মানিক ভট্টাচার্যের খোঁজে লুক আউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই। ১ সপ্তাহ ধরে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা কোনও বাড়িতেও খোঁজ মেলেনি। সমস্ত বিমানবন্দরে নোটিস দিচ্ছে সিবিআই। সিবিআইয়ের  দাবি, এক সপ্তাহ ধরে মানিক ভট্টাচার্যের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে. কিন্তু যোগাযোগ করা যায়নি। মানিকের ফোন সুইচড অফ। কলকাতার ফ্ল্যাট ও নদিয়ার বাড়িতেও খোঁজ মেলেনি বলেই দাবি সিবিআই-র। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতেও পারেন মানিক ভট্টাচার্য, এমনই আশঙ্কা সিবিআইয়ের। তাই খোঁজ না পেয়ে এবার লুক আউট নোটিস জারি করল সিবিআই। এয়ারপোর্ট অথরাটি অব ইন্ডিয়ার কাছে মানিক ভট্টাচার্যের ছবি সহ নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছে, কোন মামলায় সিবিআই তাঁকে খুঁজছে, এবং কোন মামলায় তিনি অভিযুক্ত। সিবিআই সূত্রে খবর, এমনকী আইনজীবীও জানিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য কোথায় ? তা তাঁরও জানা নেই। মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ও পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে।  নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল  সিবিআই এবং ইডি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালানো হয়। ২০১৪ এর প্রাথমিক টেট দুর্নীতির মামলায়, মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় হাইকোর্ট।


আরও পড়ুন, কীভাবে কালিকা থেকে কৃষ্ণবর্ণ দেবী কৌশিকীর সৃষ্টি ? গল্প শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে !


অপরদিকে, 'মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) জমানা শেষ। আদালতের সঙ্গে চালাকি করবেন না, হয় মামলা প্রত্যাহার করুন, নয়তো বিশাল অঙ্কের জরিমানা।দরকার হলে আলাদা মামলা করুন, এই মামলাকে বিলম্বিত করবেন না। মামলাকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করবেন না, কেন করছেন আমি জানি',  প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টেট পাস এবং প্রশিক্ষণরত প্রার্থীদের আইনজীবীর উদ্দেশে হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতির।