কলকাতা: ডিএ ইস্যুতে (DA) এবার টুইটে সরব বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ডিএ আন্দোলনকারীরা তাঁদের অধিকারের দাবিতে লড়াই। যে অধিকার আদালতও মেনে নিয়েছে। যাদের জন্য সরকার চলছে, তাঁদের যদি রাস্তায় বসতে হয়, পশ্চিমবঙ্গের কাছে এর থেকে দুভার্গ্যজনক আর কিছু হতে পারে না। আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নৈতিকভাবে আছি।'






সরকারি কর্মীদের বেতনের টাকা গ্রান্ট ইন এইড খাতে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে? অন্য খাতে তা খরচ করা হচ্ছে? তাই কি রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে DA-দেওয়া যাচ্ছে না? চাঞ্চল্যকরএই প্রশ্ন তুললেন আন্দোলনকারী রাজ্য সরকারি কর্মীরা। পাল্টা, তাঁদের কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি তো ম্য়াজিশিয়ান নই। যে টাকা দাও বললেই হঠাৎ গুপী গাইন বাঘা বাইনের মতো মিষ্টি চলে এল, টাকা চলে এল। টাকাটা জোগাড় করতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও ৩ শতাংশ DA আমরা দিয়েছি।'


বকেয়া DA নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। রাজ্য় সরকারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্য়কর অভিযোগ তুলেছে তারা। পাল্টা তৃণমূল আবার আন্দোলনকারীদের কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'আমাদের কর্মচারীদের বেতন খাতে যে পয়সা আসে, তা কেন্দ্রীয় গ্রান্ট ইন এইড খাতে আসে, সেই গ্রান্ট ইন এইড খাতে প্রাপ্তির দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গ চতুর্থ স্থানে থাকে। অথচ সেই টাকা যখন কর্মচারীদের দিতে হচ্ছে, তার ক্ষেত্রে তারা সব থেকে শেষ স্থানে থাকছে, কর্মচারীদের জন্য পয়সা কেন্দ্রের কাছ থেকে পাচ্ছে, অথচ সেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না, মেরে দিচ্ছে, টাকা জমিয়ে রেখে সুদ খাওয়া হচ্ছে।'


আরও পড়ুন, সরকারি কর্মীদের ছুটিতে 'না', DA ইস্যুতে কর্মবিরতিতে পাল্টা নবান্ন


অপরদিকে, ডিএ ইস্যুতে (DA) কর্মবিরতিতে এবার যবনিকা টানতে পাল্টা নবান্ন (Nabanna)। আগামী ২০ এবং ২১ তারিখ অর্থাৎ সোমবার এবং মঙ্গলবার সকল ছুটি বাতিল করল রাজ্য সরকার (WB Govt)। নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, যারা এই দুই দিন কাজে আসবেন না, তাঁদের চাকরিজীবন থেকে একটি দিন বিয়োগ হবে।