প্রকাশ সিন্হা, কলকাতা: তাপসের (Tapas Mandal) বয়ান নিয়ে ফের মানিককে জেরা করা হবে। সূত্রের খবর, মানিক ভট্টাচার্য-র (Manik Bhattacharya) ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ ইডির (ED) ।  জিজ্ঞাসাবাদে ক্রস ভেরিফিকেশন পদ্ধতির সাহায্য নেন ED’র অফিসাররা। ৪টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে ৬টি বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ চালাতেন তাপস। ইডি সূত্রে দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে তাপস স্বীকার করেছেন, মানিকের ছেলের সংস্থাকে কনসালটেন্সি ও পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। 


উল্লেখ্য, গতকালই ED’র ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্যর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। সূত্রের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে ক্রস ভেরিফিকেশন পদ্ধতির সাহায্য নেন ED’র অফিসাররা। ED সূত্রে দাবি, ৪টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে ৬টি বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ চালাতেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ ভোররাতে সাড়ে ৩টের সময় ছাড়া হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে তাপস স্বীকার করেছেন, মানিকের ছেলের সংস্থাকে কনসালটেন্সি ও পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। তবে করোনা ও লকডাউনের জন্য সেই কাজ হয়নি। সেইসঙ্গেই তাপস জানান, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে মানিকের ছেলের সংস্থাকে অনলাইন ক্লাস করানোর জন্য ৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। এর জন্য ছাত্রপিছু ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয় বলে জানান তাপস। ইডি সূত্রে খবর, তাপসের বয়ান নিয়ে ফের মানিককে জেরা করা হবে।  ED সূত্রে আরও দাবি করা হয়েছে, তাপস মণ্ডলের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফার হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে। এই প্রেক্ষিতে মানিক ভটাচার্য ও তাপস মণ্ডলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। সম্প্রতি মহিষবাথানে তাপসের অফিস ও বারাসাতের বাড়িতে দিনভর তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 


আরও পড়ুন, 'কেন্দ্রীয় দফতরের সামনে, চাকরি প্রার্থীরা ধর্ণা দিলে সামলাতে পারবেন তো ? ', প্রশ্ন কুণালের


অপরদিকে, সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা মানিক ভট্টাচার্য-র । নিয়োগ-দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি-র গ্রেফতারির বিরুদ্ধে মানিকের মামলা পত্রপাঠ খারিজ করল বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ। দুর্নীতি নিয়োগ মামলায় জেলেই থাকতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতিকে। এর আগে শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানায়, মানিকের রক্ষাকবচ শুধুমাত্র সিবিআই মামলার ক্ষেত্রেই প্রযোয্য।টেট দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে সিবিআই । তবে মানিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না সিবিআই, ইতিমধ্যেই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট । ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে সিবিআইকে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের ।