সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা : সাত সকালে চাঁদনি চকে CESC-র অফিসে অগ্নিকাণ্ড। সিইএসসির অফিসের টান্সফর্মারে আগুন লেগে বিস্ফোরণ হয় এবং তার থেকেই আগুন লাগে বলে খবর। ছুটির দিন রবিবার সকাল ৭টা ১০ নাগাদ আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে দমকল বাহিনী। কোনও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি এই ঘটনায়।                      

Continues below advertisement

চাঁদনি চকের প্রিন্সেপ স্ট্রিটে রয়েছে সিইএসসি- র অফিস। এখানে একাধিক প্ল্যান্ট রয়েছে। তারই মধ্যে একটি প্ল্যান্টে আগুন লাগে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পরপর বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন তাঁরা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে দমকল বাহিনী। তবে এখনও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন দমকল কর্মীরা। যে এলাকায় আগুন লেগেছে তা যথেষ্টই ব্যস্ত এলাকা। আশপাশে রয়েছে অনেক বিল্ডিং। এরম একটি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয়দের অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন সিইএসসি- র অফিসের নীচে। তবে ছুটির দিন হওয়ায় বড়সড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে।                            

কয়েকদিন আগেই লালবাজারের কাছে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল, অফিস টাইমে অফিস পাড়ায় ছড়িয়েছিলেন আগুন আতঙ্ক 

Continues below advertisement

লালবাজার থেকে ২০০ মিটার মতো দূরে আর এন মুখার্জি রোড সংলগ্ন এলাকায় একটি গাড়ির যন্ত্রাংশ রাখার গুদামে আগুন লাগে। তিনতলা বাড়ির একতলায় ছিল ওই গুদাম। সেখানেই আগুন লাগে। ভিতরে রাসায়নিক পদার্থ থাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার পর এত ধোঁয়া হয়ে গিয়েছিল ওই এলাকায় যে প্রথমে বেশ কিছুক্ষণ ভিতরে ঢুকতেই পারেননি দমকল কর্মীরা। বিশেষ মাস্ক পরে, অক্সিজেন সিলিন্ডার সঙ্গে নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে আগুনের উৎস খোঁজার চেষ্টা করেন তাঁরা। জানা যায়, একটি এসি মেশিনে শর্ট সার্কিট হওয়ার ফলে এই বীভৎস অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। প্রচণ্ড ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন দমকল কর্মীরা। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তাঁদের। জ্বলছিল চোখ, নাক, মুখ। বারবার মুখে, চোখে জল দিতে হচ্ছিল সকলকে।