কলকাতা: ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইন্সটিটিউটের (ISI) ক্যান্টিন কর্মীর রহস্যমৃত্যু (Canteen Worker Death Mystery)। বরানগরে ভাড়া বাড়িতে মৃতদেহ উদ্ধার, উধাও রুম মেট। 'শ্বাসরোধ করে খুন, গলায় মিলেছে ফাঁসের চিহ্ন', ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট (Autopsy Primary Report) পাওয়ার পরেই খুনের মামলা রুজু পুলিশের। আইএসআইয়ের ক্যান্টিন কর্মী শ্রীমন্ত মাজিকে খুনের (Murder Allegation) অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।


আরও পড়ুন, কানে রক্ত ঝরা বন্ধ করতে এমসিল ! আঠা দিয়ে কান সিল করল হাতুড়ে


দেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠানগুলিই বারবার মর্মান্তিক ঘটনাগুলির মুখোমুখি হচ্ছে বারবার। রবিবার বিকেলে আইআইটি বম্বের (IIT Bombay) পওয়াই ক্যাম্পাসে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। সাততলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে ১৮ বছর বয়সি দর্শন সোলাঙ্কি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। দর্শন আদতে গুজরাতের ছেলে, বিটেক পড়ছিলেন। মাস তিনেক আগে আইআইটি বম্বে-তে ভর্তি হন। শনিবাই প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা শেষ হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে দর্শনের সবপাঠীদের দাবি, ক্যাম্পাসে তফসিলি পড়ুয়াদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়, যা কিনা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে দর্শনকে।


দর্শনের লেখা কোনও সুইসাইড নোট যদিও উদ্ধার হয়নি। আপাতত দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পড়শানো নিয়ে দর্শনের উপর অত্যধিক চাপ ছিল কিনা, একেবারে খাদের কিনারায় পৌঁছে গিয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর শুভাশিস চৌধুরী পড়ুয়াদের উদ্দেশে লিখিত বিবৃতিতে প্রকাশ করে জানান, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়াকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় হারানোর কথা জানাতে হচ্ছে। পওয়াই পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ওই পড়ুয়ার মা-বাবাকে খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা আসছেন। ওই পড়ুয়ার মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত আমি। কামনা করি, এই মারাত্মক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার শক্তি সঞ্চয় করুক ওঁর পরিবার’।


আরও পড়ুন, কারা টাকা সরাতে সাহায্য করেছে ? ফের ইডি-র জেরার মুখে কুন্তল


সম্প্রতি নতুন বছরে মেট্রোপলিটনে প্রাক্তন বিমানসেবিকার (Airhostess) রহস্যমৃত্যু (Death)এর ঘটনা ঘটেছে। ৫ তলা ফ্ল্যাটের নীচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। মৃতা দেবপ্রিয়া বিশ্বাস (Debopriya Biswas) করোনার আগে কাজ করতে কাতার এয়ারওয়েজে (Qatar Airways)। প্রাক্তন বিমানসেবিকার মৃত্যু দুর্ঘটনা না, আত্মহত্যা? এনিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধারের সময় মুঠোয় ছিল চাবির গোছা। হাতের মুঠোয় কেন ছিল চাবির গোছা? তদন্তে নামে পুলিশ (Police)।