কলকাতাঃ  এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) ২ প্রাক্তন উপদেষ্টাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। ওই ২ প্রাক্তন উপদেষ্টা হলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং অশোক সাহা। এবং এটাই বাংলার নিয়োগ দুর্নীতি সিবিআই-র প্রথম গ্রেফতার। আর গ্রেফতারের ইস্যুতে এবার শাসকদলের হয়ে মুখ খুললেন জয়প্রকাশ মজুমদার।  'বিশিষ্টজন' করে সম্বোধন। তিনি বলেন, 'এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগাযোগ নেই।' মূলত সিবিআইয়ের এফআইআরে ১ নম্বরে শান্তিপ্রসাদ সিন্হা। সিবিআইয়ের এফআইআরে ৪ নম্বরে অশোক সাহা। শান্তিপ্রসাদ-অশোক সাহার বাড়িতে গিয়ে একাধিকবার তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। 'তদন্তে বিভ্রান্ত' করার অভিযোগে গ্রেফতার এসএসসি-র ২ প্রাক্তন উপদেষ্টা। উল্লেখ্য, হাইকোর্ট নিযুক্ত বাগ কমিটির রিপোর্টে নাম ছিল শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও অশোক সাহার।


যদি কেউ দোষ করে থাকে,  তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে-জয়প্রকাশ মজুমদার 


এই দুই সরকারি আধিকারিক দুর্নীতি করার সাহস পেলেন কোথা থেকে ? প্রশ্নের উত্তরে এদিন জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, না , সাহস কোথা থেকে পেলেন, এভাবে তো হয় না।  খুন করেছে, তাঁকে ধরা হয়েছে, খুনের সাহস কোথা পেলেন, এরকম প্রশ্নগুলি দিয়ে তো আর তদন্ত হয় না। এরা দোষ যদি করে থাকেন, যে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার তাহলে নেবেন। এনারা আধিককারিক ছিলেন এবং শিক্ষাবিদও ছিলেন। আমরা যেটা বাংলায় অনেকসময় বলে থাকি, বিশিষ্টজন, এরা তাঁদের মধ্যেও বিলং করে থাকেন। কিন্তু এদের যখন যেভাবে তদন্ত করছে সিবিআই, যদি প্রমাণিত হয়, কোর্ট থেকে শাস্তি বিধান হবে। মানে আমাদের দিক থেকে দল যেটা আগেই বলে দিয়েছে, এবং মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন, আইন তার সুষ্ট ষ্পষ্ট রাস্তায় চলবে, যদি কেউ দোষ করে থাকে, সে এই রকম আধিকারিক হোক বা সাধারণ কেউ হোক, তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগাযোগ নেই, এইটুকু আমি বলে দিতে চাই।'


' নিয়োগের কিছু আইনি দিক রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে'


প্রসঙ্গত, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সদ্য হওয়া বৈঠকের পর ব্রাত্য বসু বলেন,' নিয়োগের কিছু আইনি দিক রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। এর জন্য আরও পোস্ট তৈরি করতে হবে। এই পোস্ট তৈরি করতে অর্থ দফতরের অনুমোদন লাগবে। ক্যাবিনেটের অনুমোদন লাগবে।মুখমন্ত্রীর অনুমোদন লাগবে। আমরা এসএসসিকে বলেছি, এদের দাবি অনুযায়ী কত অতিরিক্ত পোস্ট তৈরি করার দরকার সেটি খতিয়ে দেখতে। পোস্টের সেই সংখ্যাটা আমরা এসএসসি বলেছি, যত তাড়াতাড়ি পারেন, আমাদের দিন।' অপরদিকে, আন্দোলনকারীদের তরফে শহীদুল্লাহ বলেন, 'বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন যে সবার চাকরি হবে। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল,'মেধাতালিকায় থাকা সকলের চাকরি হতে হবে। সেইভাবেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শহীদুল্লাহ আরও বলেন, 'মেধাতালিকায় নাম থাকা একজনও যেনও বঞ্চিত না হয়, আলোচনা সদর্থক হয়েছে। ৬ হাজারের মধ্যে ২১৫৯টি সিট তৈরি করা আছে।' তবে আন্দোলন আরও এগিয়ে যাবে কিনা, সেই প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীদের তরফে শহীদুল্লাহ বলেন, 'শান্তিপূর্ণ ধর্না-অবস্থান চলবে। সকলের নিয়োগপত্র পেলেই আন্দোলন বন্ধ হবে।' আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, প্যানেলে অসঙ্গতি আছে, সবাই নিয়োগের যোগ্য। আরও একটু ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে। তাঁদের আশা সবারই চাকরি হবে।'