কলকাতা: সালটা ছিল ২০১৮। তৃণমূলে যোগ দিতে না চাওয়ায় কাকদ্বীপে দম্পতিকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ করেছিল সিপিএম। দেখতে দেখতে ৪ বছর পার। দোরগড়ায় ফের পঞ্চায়েত ভোট। আর এবার সেই মামলাতেই এবার দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ বিচারপতির।  


কাকদ্বীপে দম্পতিকে পুড়িয়ে 'খুন'- তদন্তে দময়ন্তীর নেতৃত্বে সিট গঠন


পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে, ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটের সময় জোড়া খুনের তদন্তে সিট (SIT)। ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটের সময় কাকদ্বীপে দম্পতিকে পুড়িয়ে 'খুন', দময়ন্তীর নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ। দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। ২০১৮-র ১৪ মে কাকদ্বীপের বুধাখালিতে বাড়িতেই উদ্ধার হয় দেবু দাস, ঊষারানি দাসের দগ্ধ দেহ। সিটের তদন্ত-রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ হাইকোর্টের। নিম্ন আদালতের সমস্ত বিচারপ্রক্রিয়ার উপরেও হাইকোর্টের (High Court) স্থগিতাদেশ। তৃণমূলে যোগ দিতে না চাওয়ায় দম্পতিকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ করে সিপিএম। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেই দম্পতির মৃত্যু, পাল্টা দাবি করে তৃণমূল। বর্তমানে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল সিপির দায়িত্বে দময়ন্তী সেন। আরেক পঞ্চায়েত ভোটের আগে ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটের সময় জোড়া খুনের তদন্তে সিট। 


 আগেও রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল দময়ন্তী সেনকেই


আরও পড়ুন, মাধ্যমিকে পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর করলে রেজাল্ট পাবে না পরীক্ষার্থী, কড়া সিদ্ধান্ত পর্ষদের


প্রসঙ্গত, এর আগেও রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল দময়ন্তী সেনকেই। গতবছর নামখানা গণধর্ষণের (Namkhana Case) তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয় দময়ন্তী সেনের নের্তৃত্বেই।  নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গতবছর মোট ৫টি মামলার তদন্তের নজরদারির দায়িত্ব পান দময়ন্তী সেন। উল্লেখ্য গত বছর একের পর এক নারী নির্যাতনের অভিযোগে তোলপাড় হয় রাজ্যের নানা প্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় যে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা গণধর্ষণ মামলার তদন্তও হবে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কমিশনার, IPS অফিসার দময়ন্তী সেনের নজরদারিতে। এর পাশাপাশি হাঁসখালিকাণ্ডের মতো নামখানার নির্যাতিতা, তাঁর পরিবার ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেয় আদালত। এর আগে, উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়া ও দেগঙ্গা, মালদার ইংরেজবাজার ও বাঁশদ্রোণী ধর্ষণ মামলার তদন্তেও নজরদারির দায়িত্বও IPS অফিসার দময়ন্তী সেনকেই দিয়েছিল আদালত।