কলকাতাঃ গল্ফগ্রিন থানার 'পুলিশের মারে' মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনায়  সাসপেন্ড করা হল সার্জেন্টকে (Golf Green Sergeant Suspend)। উল্লেখ্য, দীপঙ্কর সাহার মৃত্যুতে গল্ফগ্রিন থানার সার্জেন্ট, কনস্টেবল সাসপেন্ড  করা হয়েছে।  জানা গিয়েছে, প্রথমে ক্লোজ, পরে সাসপেন্ড করা হয় গল্ফগ্রিন থানার সার্জেন্ট অমিতাভ তামাঙ্গ এবং গল্ফগ্রিন থানার কনস্টেবল তৈমুর আলিকে। নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার আফতাব মণ্ডলকেও।


প্রসঙ্গত, মৃতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, গত ররিবার, ৩১ জুলাই দুপুর ২টোর সময় দীপঙ্করকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ি থেকে নিয়ে যায় গল্ফগ্রিন থানার পুলিশ। অভিযোগ, রাত ৯টার সময় দীপঙ্করকে গুরুতর আহত অবস্থায় আজাদগড় মোড়ে ফেলে রেখে দিয়ে চলে যায় তারা। শুক্রবার ভোরে এম আর বাঙুর মৃত্যু হয় ৩৪ বছরের দীপঙ্করের। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ওই ঘটনার পরে বুধবার দীপঙ্কর অসুস্থ বোধ করায়, তাঁকে নিয়ে যাওয়া শিশুমঙ্গল হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে তাঁকে ওই রাতেই বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়।  ঠিক তার পরেরদিন, বৃহস্পতিবার রাতে ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন দীপঙ্কর। তখন তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। সামনে এসেছে থানার সামনে সিসিটিভি ফুটেজও। সেখানে দীপঙ্করকে সঙ্গে নিয়ে দুই পুলিশকর্মী বেরিয়ে যাচ্ছেন বলে দেখা যাচ্ছে।


প্রথম থেকেই মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। যদিও তা মানতে নারাজ মৃতের পরিবার।কোনও অভিযোগ ছিল না, তা সত্ত্বেও বিনা নোটিসে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গেছিল পুলিশ। তারপর গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল যুবককে। ৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু। গল্ফগ্রিন থানার অন্তর্গত আজাদগড়ের বাসিন্দা দীপঙ্কর সাহার মৃত্যুতে এভাবেই পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছে মৃতের পরিবার।  পুলিশ কি এভাবে যে কোনও সময় কাউকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যেতে পারে, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।


আরও পড়ুন,'এই সব চুনোপুঁটি'-কে নয়, 'যার নির্দেশে এই কমিটি, তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে', বিস্ফোরক বিকাশরঞ্জন


সম্প্রতি আজাদগড়ে মৃত যুবকের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  'পুলিশের মারে মৃত্যু ভাইয়ের, পুলিশ কী তদন্ত করবে? পুলিশ বেরনোর ফুটেজ দেখাচ্ছে, থানায় ঢোকার ফুটেজ কেন প্রকাশ্যে আনছে না?' পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন আজাদগড়ের মৃত যুবকের পরিবারের। প্রায় আধ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে এদিন আজাদগড়ে মৃত যুবকের বাড়িতে কথা বলেন শুভেন্দু। তিনি এদিন জানতে চেয়েছেন, মৃতের পরিবারের কাছে, ওই দিন ঠিক কী হয়েছিল ? যেসমস্ত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের বিষয়ে জানতে চান পাশাপাশি এবং লোকাল থানার ভূমিকা কী ছিল ? এনিয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন তিনি।