কলকাতা: পুজোর মুখে কর্মসংস্থান নিয়ে করা মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ করে বিজেপি (BJP) । বিধানসভার গেটের সামনে ঘুগনি ও ঝালমুড়ি বিক্রি করেন বিজেপি বিধায়করা। হাতে ঝালমুড়ির কৌটো ! মুখ্যমন্ত্রীর একটি মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বিধানসভার গেটে এভাবেই অভিনব বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপি বিধায়করা। আর এবার সেই ইস্যুতেই এবার বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। 


এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, 'যারা নেতিবাচক মন নিয়ে, ঝাড়মুড়ি বিক্রি করলেন, তাঁরা পকোড়া চা-ও বিক্রি করুন। মোদিজির কথা ভেবে। আর বুদ্ধবাবু যেহেতু স্বনির্ভরতার জন্য কোয়েল পালনে জোর দিয়েছিলেন, ব্যবসা জমবে। ছবির ফ্রেমও জমজমাট হবে। ' মূলত, সম্প্রতি  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়বলেছিলেন, 'আমি বলছি, আপনি এক হাজার টাকা নিন, তা দিয়ে একটা কেটলি কিনুন আর কয়েকটা মাটির ভাঁড় নিন। সঙ্গে কিছু বিস্কুট রাখুন। আস্তে আস্তে বাড়বে। প্রথম সপ্তাহে বিস্কুট নিলেন, তারপরের সপ্তাহে মাকে বললেন, একটু ঘুগনি তৈরি করে দাও। তারপরের সপ্তাহে একটু তেলেভাজা করলেন। একটা টুল আরেকটা টেবিল নিয়ে বসলেন। এই তো পুজো আসছে, দেখবেন লোককে দিয়ে কুলোতে পারবেন না।কেউ যদি ব্যঙ্গ করে বলে তুই এটা করছিস? বলবেন এভাবেই আমি কোটিপতি হব।' সম্প্রতি, খড়গপুরের সরকারি অনুষ্ঠানে এ’কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই, বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশন শেষে এভাবেই বিক্ষোভে সামিল হলেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার দু’নম্বর গেটের সামনে কেউ বিক্রি করলেন ঘুঘনি, কেউ চা! কেউ আবার ঝালমুড়ি!


 আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, 'আমরাও লাখোপতি হতে চাই, ফর্মুলা তো মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন, তাই এটা করছি।' প্রসঙ্গত, রাজ্যে কর্মসংস্থান নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্যের একাধিক মামলার মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে এসএসসি মামলা নিয়ে তুলকালাম। ধর্ণামঞ্চে দিনের পর দিন চাকরি প্রার্থীরা। পাশ করেও চাকরি না পাওয়া, এবং পরীক্ষায় না বসেও চাকরি পাওয়ার ইস্যুতে ইতিমধ্যেই শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে গেরুয়া শিবির। তবে মমতার নতুন করে ঘুঘনি বানিয়ে বেকারদের কোটিপতি দেখানোর স্বপ্নে রাজপথে নামলেন বিজেপি বিধায়করা।


আরও পড়ুন, 'মিঠুন মানেই বাঙালির আবেগ, তৃণমূলের ক্ষেত্রেও তা কাজ করে', বললেন সুকান্ত


যদিও পাল্টা অর্থমন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী এটা বলেননি, এরা কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করছেন, সেটা তো কোথাও বানানো হয়েছে।নাটক করে লাভ হবে না।' মূলত সম্প্রতি,  তৃণমূলের বিরাট সমাবেশে দাঁড়িয়ে বাংলার চাকরি নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যু প্রকাশ্যে আসতেই, বামেদের প্রশ্নের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কত চাকরি হয়েছে বাম আমলে ? কত চাকরি তৃণমূলের সরকারের আমলে হয়েছে ? স্টেজে উঠেই অগ্নিশর্মা হয়ে প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুল সার্ভিস মনে রাখবেন, স্কুল এবং কলেজ নিয়ে মাত্র ১০ বছরে আমরা ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৭০ টি চাকরি দিয়েছি।'