কলকাতা: বিজেপি প্রাক-পুজো সম্মেলনে মিঠুন চক্রবর্তীকে ( Mithun Chakraborty ) সঙ্গে রেখে রাজ্যকে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumjdar)। পাশাপাশি, বিজেপির হেস্টিংস দফতরে মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। যদিও সার্কিট হাউজ ইস্যু উঠতেই মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে শাসকদলকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য। সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সার্কিট হাউজ ইস্যুতে এদিন নাম না করে রাজ্যকে নিশানা করে সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেন, মিঠুন দা তো শুধু রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব নন, তাই যারা তাঁকে ত্যাগ করতে চান, আমার মনে হয়, তারা বাংলা , বাঙালির কালচারকে হয়তো বোঝেন না, হয়তো জানেন না। আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতাতেই বলছি, আমি আগে ছোটবেলায়, মিঠুন চক্রবর্তী ছবি বলতে কি..আগে ওই পোস্টকার্ড সাইজের ছবি কিনতাম। মিঠুন চক্রবর্তী মানেই বাঙালির আবেগ। আমার মনে হয়, তৃণমূলের ক্ষেত্রেও সেই একই আবেগ কাজ করে। এরপরেই সাংবাদিকদের মুখে কুণালের টুইট ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই, 'বাচাল ঘোষ' বলে বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার।
সূত্রের খবর, অমিত শাহ না আসলে সল্টলেকে ইজেডসিসি-তে বিজেপির পুজো উদ্বোধন করতে পারেন মিঠুন চক্রবর্তী। শুক্রবারই শহরে পৌঁছেছেন তিনি। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে জনসংযোগের হাতিয়ার ‘বাঙালি বাবু’ ইজেডসিসি-র পাশাপাশি এবার অমিত শাহকে দিয়ে, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার এবং সল্টলেকের বিজে ব্লকের পুজো উদ্বোধন করানোরও পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির। এবার, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের থিম ‘স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব’। আর, সল্টলেকের বিজে ব্লকের পুজোর থিম ‘রামমন্দির’! সূত্রের খবর, এই পুজোগুলোর উদ্বোধনও অমিত শাহকে দিয়ে করানোর ইচ্ছা আছে বঙ্গ বিজেপি’র। জুলাইতেও কলকাতায় পা রেখেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী । সুকান্তর আমন্ত্রণ রক্ষা করতে সন্ধেয় রাজ্য বিজেপি-র সদর দফতরেও যান। সেখানে সুকান্তর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, বিজেপি-র সাধারণ কর্মী হিসেবেই কাজ করবেন। দল যে নির্দেশ দেবে, যে দায়িত্ব দেবে পালন করবেন নিষ্ঠা ভরে। তাঁকে কী দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, যদিও তা খোলসা করেননি মিঠুন চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন, 'মমতাপন্থীরা ব্রাত্য হয়ে যাচ্ছে দলে', সমীরের মন্তব্যের পর বিস্ফোরক রাহুল
মিঠুন এদিন বলেন, ‘হতাশায় ভুগি যে এত টাকা আয় করতে পারলাম না। টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বন্ধুরা মাঝে মাঝে মজা করে। দোষ না করলে ইডি-সিবিআইয়ের তদন্তে ভয় কীসের?’। যদিও জুলাই মাসের শেষে তিনি দাবি করেছিলেন, ‘৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগে আছেন, ২১ জন সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন' বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন মিঠুন চক্রবর্তী । পার্থ ইস্যুতেও মুখ খুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘প্রমাণ থাকলে প্রধানমন্ত্রী , রাষ্ট্রপতিও বাঁচাতে পারবেন না। প্রমাণ না থাকলে ঘুমিয়ে থাকুন, কোনও সমস্যা নেই।’