কলকাতা: ফের শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) মুখোমুখি বিতর্কের আহ্বান কুণালের। তবে এদিনের বিষয়, প্রেক্ষাপটটা অন্য। কারণ কিছুদিন আগেই, সারদা চিট ফান্ডকাণ্ডে শুভেন্দুকে 'মুখোমুখি বিতর্কের আমন্ত্রণ' জানান কুণাল ঘোষ। তবে এবার তার বক্তব্যের শিরোনামে 'নন্দীগ্রাম।'


এদিন ফেসবুক পোস্ট করে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, 'ওওও শুভেন্দু। আজ সারাদিন পর তোমার জন্য একটি উপহার পাঠালাম ছবিতে। এরপরেই তিনি একটি 'প্রকল্পের' নাম নিয়ে বলে, 'এটি বাংলার জন্য ভালো ছিল। কিন্তু তার জন্য নন্দীগ্রাম সঠিক জায়গা ছিল না। সিপিএমের সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের জমি দখল নীতির বিরোধীতাও আমি খোলাখুলিভাবে করেছি। শিল্প আর শিল্পনীতি এক নয়। তুমি দিশাহীনভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছো। চলো এই ইস্যুতেও মুখোমুখি বিতর্ক হয়ে যাক। এরপর তিনি শেষ লাইনে বলেন, তোমার মনের উপর দিয়ে যা গেল আজ ! নন্দীগ্রামেই 'গো ব্যাক' পোস্টার। আহা রে ! ' 


অপরদিকে, এদিন শুভেন্দু অধিকারী ফেসবুক পোস্টে নন্দীগ্রাম ইস্যুতে লেখেন, ১০ নভেম্ভর, ২০০৭ সালে , আজকের দিনেই রক্তাক্ত হয়েছিল নন্দীগ্রাম।সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ -সহ গোটা বিশ্ব সেই রক্তাক্ত বিভীষিকায়, হাড় হিম করা সন্ত্রাস দেখে, শিহরিত হয়েছিল।আজ নন্দীগ্রামে রক্তাক্ত সূর্যোদয়ের ১৫ তম বর্ষপূর্তিতে, নন্দীগ্রামের ভূমিরক্ষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে তেখালি থেকে গোকূলনগর কর পল্লী শহীদবেদি পর্যন্ত শহীদ স্মরণ পদযাত্রার পর গঙ্গাজল দিয়ে শহীদবেদি পরিষ্কার করে, অমর শহীদদের উদ্দেশ্যে মাল্য দান করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলাম।' 


আরও পড়ুন, 'আমরা ক্রিমিনাল নই, প্রমাণ হল', জামিনের পর প্রতিক্রিয়া অরুণিমার


প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই, সারদা চিট ফান্ডকাণ্ডে শুভেন্দুকে 'মুখোমুখি বিতর্কের আমন্ত্রণ' জানান কুণাল ঘোষ। সেবার কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) টুইটে লেখেন, 'আমি শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) আমাদের উভয়ের কাছ থেকে বিবৃতি দেওয়ার পরিবর্তে, মিডিয়া এবং সমস্ত আগ্রহী ব্যাক্তিদের সামনে বিশেষত সারদা চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির ইস্যুতে মুখোমুখি বিতর্কের আমন্ত্রন জানাচ্ছি। যদি আমাদের সাহস থাকে, তাহলে আমাদের কথা বলা উচিত। ' সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়শই, শুভেন্দু-কুণালকে একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা যায়। তবে অনেকসময়ই নিশানায় স্ট্যান্ডআপ কমিডিয়ানের টাচ থাকে। তা সে শুভেন্দু 'বার্ণল নিয়ে বসুন' বলা হোক, কিংবা বীরভূমের বগটুইরকাণ্ডে বিজেপিনেতাদের তোপ দাগতে গিয়ে শুভেন্দুকে নিশানা, রাজ্যের প্রায় সব ইস্যুতেই প্রাক্তনীকে তোপ দেগেছেন কুণাল। যদিও একটুও পিছপা হননি শুভেন্দু, সুযোগ পেলেই কুণালের জেলে যাওয়ার কথা তুলে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তিনি। যদিও তার  কারণ হিসেবে পাল্টা তোপ দাগেন কুণালও। তবে এই প্রথম দল ছাড়ার পর শুভেন্দুকে মুখোমুখি বিতর্কের আমন্ত্রণ দিলেন তিনি।