কলকাতা: এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল সিবিআই। নিয়োগ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন কল্যাণময়। ২ প্রাক্তন এসএসসি কর্তার পরে এবার কল্যাণময়কে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)।

  আর এই ইস্যুতে এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। 


সরকারের এতবড় কাঠামো, সেখানে শুধু তৃণমূল কাজ করছে নাকি ? : কুণাল ঘোষ


এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, 'এটা পুরো তদন্তের ব্যাপার। এর বিস্তারিত এখনও আমরা জানি না। যদি উনি গ্রেফতার হয়ে থাকেন, উনি বা ওনার আইনজীবীরা যা বলার বলবেন। তৃণমূল জামানায় এমন বহুলোক সারা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাঠামোয় কাজ করে, যারা তাঁরা আগেও করে এসেছেন, বহুদিন ধরে, বহুবছর ধরে। তারমানে কি তাঁরা সবাই তৃণমূল ? বাম জমানার লোক এর মধ্যে চাকরি করছে না ? ভিন্নমতের লোক কি এর মধ্যে কাজ করছেন না ? সরকারের এতবড় কাঠামো, সেখানে শুধু তৃণমূল কাজ করছে নাকি ! ফলে এর সঙ্গে রাজনীতি জ়ড়ানোর মতো খুব একটা কিছু দেখতে পাচ্ছি না ! ' উল্লেখ্য, পার্থ, শান্তিপ্রসাদ, অশোক সাহার পরে এবার গ্রেফতার কল্যাণময়। চাকরি বিক্রির অভিযোগে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে ২ প্রাক্তন এসএসসি কর্তাকে। শান্তিপ্রসাদ সিন্হার সঙ্গে কল্যাণময়ের সরাসরি যোগের অভিযোগ সিবিআইয়ের। ভুয়ো নিয়োগপত্রে সই করতেন কল্যাণময়, নাম ছিল বাগ কমিটির রিপোর্টেও। মূল চক্রী কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এফআইআর করা উচিত, রিপোর্ট বাগ কমিটির। 


কীভাবে সিবিআই-র জালে কল্যাণময় ?


প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এর আগে চলতি বছরে একাধিকবার কল্যাণময়কে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই। এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে দিকে দিকে অভিযান চালায় সিবিআই। হাইকোর্টের বার্তার পরেই নেওয়া হয় মূলত পদক্ষেপ। জুন মাসে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে  বাড়ি থেকে ডেকে আনা হয় সিবিআইয়ের তরফে। পর্ষদ অফিসে এনে সিবিআই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্র মারফত খবরে সেবার উঠে আসে। মূলত এর আগে বারবার তলব করা হলেও পর্ষদের অফিসে আসছিলেন না কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। এদিকে পর্ষদের অফিসে এসে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের কাদাপাড়ার আবাসনে যান তাঁরা। সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। পরে তাঁকে নিয়ে আসা হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে। সেখানেই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 


আরও পড়ুন,'ওনাকে পুরুষ পুলিশ মেরেছে', মীনাদেবীকে হাসপাতালে দেখতে এসে বিস্ফোরক শুভেন্দু


৬ ঘণ্টা জেরার পর কল্যাণময়কে গ্রেফতার করল সিবিআই


সেবার ঘন্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। উপদেষ্টা কমিটির শান্তিপ্রসাদ সিনহার বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে সিবিআই। সূত্রের খবর, একাধিকবার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে ফোন করে পর্ষদের অফিসে আসতে বলে সিবিআই। কিন্তু সেই কথা শোনেননি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। সেই কারণেই তাঁর বাড়িতে চলে যায় সিবিআই। এই মামলার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের অফিসে থাকতে পারে, এই সম্ভাবনার কারণেই তাঁর অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। তবে এবার প্রায় ৬ ঘণ্টা জেরার পরে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল সিবিআই।