কলকাতা: মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে উত্তাল হয় গঙ্গার দুই পাড়, কলকাতা-হাওড়া। সেখানে খণ্ডযুদ্ধে জড়ান পুলিশ ও বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়েন বিজেপি কর্মীরা বলে অভিযোগ। এই অশান্তির মাঝেই এমজি রোডে মাথা ফাটে কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের (Meena Devi Purohit)। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন মীনাদেবীকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।


 ওনাকে পুরুষ পুলিশ মেরেছে, আর আমার কাছে মহিলা পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছে : শুভেন্দু অধিকারী


এদিন শুভেন্দু বলেন, 'ওনাকে পুরুষ পুলিশ মেরেছে, আর আমার কাছে মহিলা পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছে। টি শার্ট জিন্স পরে একদম জগিং করতে করতে চলে এসেছে।' ঘটনার দিন শুভেন্দুি বলেন, 'আপনার লেডি অফিসার আমার গায়ে হাত দিয়েছে। ও কেন আমার গায়ে কেন হাত ধরবে! ছবিগুলো থাকল।' তাঁকে গ্রেফতার করা হোক, দাবি তোলেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা, বিধায়কের রাস্তা আটকে পুলিশ মস্করা করছে বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। এখানেই শেষ নয়,  এক মহিলা পুলিশ অফিসার এসে তাঁকে পিছু হটতে বলতেই ক্ষোভ উগরে দেন।  মহিলা পুলিশ কেন তাঁর গায়ে হাত দিচ্ছেন, প্রশ্ন তোলেন। শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, 'আমার শরীর স্পর্শ করবেন না। আপনি মহিলা, আমি পুরুষ। আপনার সিনিয়রকে ডাকুন।' ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিক বলতে থাকেন, 'আমি স্পর্শ করছি না। আপনি চলুন।'


মীনাদেবীকে দেখতে যান ফিরহাদও


অপরদিকে, দলীয় দন্দ্ব ভূলে মীনাদেবীকে দেখতে যান রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরসভার ৪ নম্বর বরোর অন্তর্গত ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। বহুদিন একসঙ্গে পুর সভায় কাজ করছেন ফিরহাদ - মীনা। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব পেরিয়ে তাঁকে মীনাদি বলেই ডাকেন ফিরহাদ।  তবে বিশুদ্ধানন্দ হাসপাতালে  গিয়ে একটিও রাজনৈতিক কথা বললেন না। ফিরহাদ বললেন, রাজনৈতিক দল আলাদা হলেও আমরা বহুদিন একসঙ্গে কাজ করেছি, তিনি আঘাত পেয়েছেন, তাই তাঁকে দেখতে এসেছি।'


আরও পড়ুন,অনুব্রত-র ২ মোবাইল ফোন কেন্দ্রীয় ল্যাবে পাঠানোর নির্দেশ, ১৪ দিনের জেল হেফাজত সায়গল-র


৫০ জনের বেশি আহত, হাসপাতালে ভর্তি: শুভেন্দু


 মীনাদেবী পুরোহিতের ক্ষত দিয়ে এখনও রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কালকের থেকে ভাল আছেন, খবর সূত্রের। তবে আজ  স্ক্যান  করার পরই জানা যাবে ক্এষত কতটা গভীর। এই ঘটনায় পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি।  হাওড়া ময়দানেও রক্ত ঝরে বিজেপি কর্মীর! মুরলীধর সেন লেনে মাথা ফাটে এক মহিলা বিজেপি কর্মীর। আহত আরও কয়েকজন। এমজি রোডেও আহত হন কয়েকজন বিজেপি কর্মী। কাউকে আবার ভ্যানে করে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শুভেন্দু দাবি করেন, ৫০ জনের বেশি আহত, হাসপাতালে ভর্তি । ধুন্ধুমারের মধ্যে আহত হন পুলিশ কর্মীরাও!  এম জি রোডে আক্রান্ত হন কলকাতা পুলিশের সেন্ট্রাল ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়।