ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: ৫ হাজার টাকা ক্যাশব্যাকের (Cashback) ফাঁদে পড়ে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা খোয়ালেন জোড়াবাগানের এক বাসিন্দা। জোড়াবাগান থানার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের নর্থ ডিভিশনের সাইবার শাখাতে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, খোয়া যাওয়া টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল সোনার কয়েন।


খোয়া গেল লক্ষাধিক টাকা: ক্যাশব্যাক! অনলাইন ট্রানজাকশনের যুগে লোভনীয় এক শব্দবন্ধ। ৫ হাজার টাকা ক্যাশব্যাকের ফাঁদে পড়ে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা খোয়ালেন জোড়াবাগানের এক বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল সোনার কয়েন। কিন্তু, কীভাবে দেড়লক্ষ টাকার বেশি গায়েব হল জোড়াবাগানের বাসিন্দার অ্য়াকাউন্ট থেকে? পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে এক নামকরা প্রাইভেট ব্যাঙ্কে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করেন জোড়াবাগানের এক বাসিন্দা। ৫ এপ্রিল হাতে পেয়েও যান ক্রেডিট কার্ড।  ৩দিন পর, ৮ এপ্রিল সন্ধেয় একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে তাঁর কাছে। নিজেকে সেই ব্যাঙ্কের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাঁকে জানান, ব্যাঙ্কের তরফ থেকে ৫ হাজার টাকার ‘ক্যাশব্যাক অফার’ দেওয়া হচ্ছে।

ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করার সময় ক্যাশব্যাক সম্পর্কে জানায় সন্দেহ হয়নি জোড়াবাগানের বাসিন্দার। এরপরই, তাঁকে পাসওয়ার্ড ও লিঙ্ক-সহ একটি ইমেল পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, জোড়াবাগানের বাসিন্দা লিঙ্কে ক্লিক করে ক্রেডিট কার্ড ডিটেল দিয়ে ক্যাশব্যাকের আবেদন করেন। সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে একটি OTP আসে। ওটিপি দিতেই, SMS আসে অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়। প্রথমে জোড়াবাগান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে অভিযোগ জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের নর্থ ডিভিশনের সাইবার শাখায়।                              


ব্যবসায়ীর কাজের খোঁজ নিয়ে সেই সূত্র ধরে নতুন কায়দায় প্রতারণা ঘটনা সামনে এসেছে দিনকয়েক আগে। পণ্য ডেলিভারি করার কথা জানিয়ে ঠিকানা জানতে চেয়ে মোবাইলে প্রথমে লিঙ্ক পাঠানো, তারপর সেই লিঙ্ক ক্লিক করতেই উত্তরপাড়ার ব্যবসায়ীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা সাফ। অনলাইন প্রতারণার (Online Fraud) খপ্পরে পড়ে পুলিশের দ্বারস্থ ব্যবসায়ী রঞ্জিত কর্মকার। তদন্তে উত্তরপাড়া থানা (Uttarpara Police Station) ও চন্দননগর পুলিশের সাইবার থানা (Chandannagar Police Cyber Police)। 


আরও পড়ুন: WHO on Covid-19: কোভিড আর 'বিপদ' নয়? বড়সড় ঘোষণা WHO-এর