কলকাতা: লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ( Lalon Sheikh's Death Mystery) ঘটনায় সাসপেন্ড হলেন CBI-এর দুই তদন্তকারী অফিসার ও দু-জন কনস্টেবল। এনিয়ে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল (TMC)। লালন মুখ খুললে কাদের ক্ষতি হত? পাল্টা প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) ।


 ১২ ডিসেম্বর, রামপুরহাটে CBI-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে, শৌচাগার থেকে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। CBI দাবি করে, লালন আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু লালনের স্ত্রী অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীকে পিটিয়ে মারা হয়েছে! এই মর্মে CBI-এর ৭ আধিকারিকের বিরুদ্ধে রামপুরহাট থানায় এফআইআর করেন তিনি।  স্বামীর মৃত্যুর জন্য CBI-এর একাধিক তদন্তকারী অফিসার-সহ আরও অনেক অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন লালনের স্ত্রী। সিবিআই হেফাজতে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর, এক মাস পর গাফিলতির অভিযোগে দুই তদন্তকারী অফিসার এবং দু-জন কনস্টেবল-সহ চারজনকে সাসপেন্ড করল CBI। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে যে FIR- দায়ের করেছিল পুলিশ, তার একেবারে প্রথমেই নাম রয়েছে বিলাস মাধঘুটের। যিনি বগটুই হত্যাকাণ্ডে, CBI-এর তদন্তকারী অফিসার। দ্বিতীয় নাম রয়েছে, কনস্টেবল ভাস্কর মণ্ডলের। যিনি CBI হেফাজতে, লালনের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।তৃতীয় নাম রয়েছে রাহুল প্রিয়দর্শীর। যিনি হলেন ভাদু শেখ খুনে, CBI-এর তদন্তকারী অফিসার। এই তিনজন ছাড়াও একজন কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করেছে সিবিআই। 


আরও পড়ুন, ৪ বছর পার, ফের পঞ্চায়েত ভোটের আগে দম্পতিকে পুড়িয়ে 'খুন'-র তদন্তে দময়ন্তী


লালন শেখের মৃত্য়ুর ঘটনায়, আগেই জনস্বার্থ মামলা ও বিচারবিভাগীয় তদন্তের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট। DIG, CID-র নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। এর তদন্তে বগটুইয়ে যান সিআইডির ডিআইজি। কথা বলেন লালনের স্ত্রীর সঙ্গে। যান সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্য়াম্পেও। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর,  লালন শেখের মৃত্যু রহস্যের তদন্তে বগটুইয়ে গ্রামে যান সিআইডি-র ডিআইজি সোমা দাস মিত্র। তাঁর সামনে  সিবিআই-এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মৃত লালনের স্ত্রী রেশমা। তাঁর দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর স্বামীর হাতে হাতকড়া পরানো হয়নি, যাতে পালাতে গেলে গুলি করা যায়। গত ১২ ডিসেম্বর, মৃত্যুর আগে, লালন শেখকে নিয়ে বগটুইয়ে তাঁর শ্বশুরবাড়ি-তে নিয়ে যায় সিবিআই। সেই দিন ঠিক কী ঘটেছিল, সিবিআই অফিসারদের ভূমিকা কী ছিল, সেই সমস্ত বিষয়ে লালনের স্ত্রীর কাছে জানতে চান সিআইডি-র ডিআইজি। সূত্রের খবর তাতে লালনের স্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, '(জায়গা দেখিয়ে) আমার স্বামীকে এখানে দাঁড় করিয়ে রেখে মারধর করেছে। আমি দেখে ছুটে এলাম এখানে। বিলাসবাবু এখানে দাঁড়িয়ে আছেন। ওঁর পায়ে আমি পড়ে গেলাম। ওকে মারবেন না। স্যর আমরা কিচ্ছু জানিনা। বাড়িতে চুরি হয়ে গিয়েছে । কিচ্ছু জানি না এই সব বিষয়ে।'