কলকাতা: বাংলার দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2022) ইউনেসকোর হেরিটেজ মুকুট। তারই ধন্যবাদজ্ঞাপনে বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। আর মমতার সরকারের সেই পদযাত্রা ইস্যুতে এদিন বিস্ফোরক মহম্মদ সেলিম (Mohammed Salim)।


 এরা নয় ছয় করেছে টাকা, দুর্নীতি থেকে দৃষ্টি সরিয়ে উৎসবে: মহম্মদ সেলিম


 এদিন মহম্মদ সেলিম বলেন,' এরা নয় ছয় করেছে টাকা। আমরা বারবার বলেছি লিস্ট দিন। গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আলাদা ধারা আছে। আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। যে দুর্গাপুজোর মডেল ছিল স্বনির্ভর, স্বতন্ত্র, আজকে আরএসএস যেটাকে গোটা ধর্মটাকে রাজনীতির মিশ্রন করে একটা টানেলের মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। টানেল ভিউ। মমতা নিজেও তাই করছেন। যেখানে সব ফুল এসে তাঁর পায়ে পড়ুক। আরএসএস তাঁকে বলে দিয়েছিল দুর্গা তিনি। আর তিনি সেই দুর্গার রোল প্লে করছেন। সরকারি ছুটি দিয়ে সবাইকে জড়ো করতে হবে। কারণ ইস্যুটাকে পালটাতে হবে। লোকে টাকার পাহাড় দেখে, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। সমস্ত ফিরিস্তি বেরোচ্ছে সম্পদের, দুর্নীতির। সেখান থেকে তিনি দৃষ্টিটাকে সরিয়ে দিয়ে উৎসবে ফিরিয়ে দিচ্ছেন।' 


আরও পড়ুন, দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতেই পদযাত্রা: শুভেন্দু অধিকারী


প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়ায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজ কলকাতায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। রেড রোডের অনুষ্ঠানে  এদিন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের সম্বর্ধনা জানানো হয়। দুপুর ২টো নাগাদ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির কাছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে কলুটোলা, বউবাজার চাঁদনি চক, ডোরিনা ক্রসিং, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ হয়ে শোভাযাত্রা পৌঁছয় রেড রোডে। তার আগে গিরিশ পার্কে জড়ো হয় ফোরাম ফর দুর্গোত্সবের অধীন পুজোগুলির উদ্যোক্তারা। উত্তর কলকাতার পুজোর উদ্যোক্তারা জড়ো হয় বিবেকানন্দ রোডে। পোস্তা উড়ালপুলের দিকে দক্ষিণ কলকাতার পুজো কমিটিগুলির প্রতিনিধিরা। অন্যদিকে, সল্টলেক ও হাওড়া থেকে আসা পুজো কমিটিগুলির উদ্যোক্তারা  শ্যামবাজারে। গিরিশ পার্ক থেকে সম্মিলিত মিছিল আসে জোড়াসাঁকোয়। সেখান থেকে মিছিলে পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী। মিছিলে ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তি, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। রেড রোডে অনুষ্ঠিত বাউল গানের আসর। যার মাধ্যমে তুলে ধরা হয় বাংলার লোক সংস্কৃতি।


 


 দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ইউনেসকোকে ধন্যবাদ জানিয়েই মূলত আজকে এই পদযাত্রা মমতার সরকারের তরফে। সেজন্য কলকাতার বেশ কিছু রাস্তায় গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে গাড়ির অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য দিকে। থাকছে কড়া নিরাপত্তা। জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।