কলকাতা: নেতাজির জন্মবার্ষিকিতে শুভেন্দু-দিলীপের পাল্টা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। মূলত এদিন সাতসকালেই তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অভিযোগ জানিয়ে বলেন, 'পরবর্তীকালে যারা সরকারে এসেছেন, দেশ চালিয়েছেন, তাঁরা যথাযত মর্যাদা ওনাকে দেননি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নের্তৃত্বে দেশ এই মর্যাদা দান করছে, ভারতবাসী তাতে সামিল হচ্ছে। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের।' আর এবার সেই মন্তব্যের পাল্টা তোপ দাগলেন কুণাল ঘোষ। নেতাজি সংক্রান্ত কোন ক্লাসিফায়েড ফাইল কেন্দ্রীয় সরকার খুলছেন না ? সঙ্গে অভিযোগও তুললেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা।


'RSS-র আইডিওলজিতে বিশ্বাসই করতেন না নেতাজি'


এদিন কুণাল ঘোষ, 'প্রথম কথা নেতাজির কন্যা অনিতা বসু, তিনি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, নেতাজির বিশ্বাসের সঙ্গে,  আদর্শের সঙ্গে এই আরএসএস এবং আরএসএস ঘরানার যে আইডিওলজি, তার কোনও সম্পর্ক নেই। এবং নেতাজি এদের উপর বিশ্বাসই করতেন না। কোথায় কে কী বলে বেড়াবে, এটা সম্পূর্ণ তাঁদের ব্যাপার। সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস, এতটাই নেতাজিকে চিরকাল শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছে, যে নেতাজি পরিবারের দুজন বিশিষ্ট মানুষ আমাদের দলের সাংসদ ছিলেন। এবং আমরা বসু পরিবারকে কীভাবে সম্মান দিতে হয়, সেটা আমরা জানি।'


কোন ক্লাসিফায়েড ফাইল কেন্দ্রীয় সরকার খুলছেন না ?


অপরদিকে তিনি আরও বলেন, 'মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে, কলকাতা পুলিশ বা রাজ্য পুলিশের কাছে থাকা নেতাজি সংক্রান্ত ফাইলগুলি উন্মুক্ত করে দিয়েছেন, সেটা কিন্তু এখনও কেন্দ্রীয় সরকার মুখে যাই বলুক, সবকটি ক্লাসিফায়েড ফাইল খোলার পরেও, একটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, তারা খুলেছেন না খোলেননি ? এনিয়ে কিন্তু প্রশ্ন আছে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে যদি যোগ্য সম্মান দিতে হয়, এখন বিজেপি কেন, অটল বিহারী বাজপেয়ির জমানাতেও তো বিজেপি ছিল, তখন কী করছিল, বিজেপি ?' প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ।


আরও পড়ুন, 'ওনাকে মর্যাদা দেননি', নেতাজির জন্মদিনে কাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর ?


নেতাজির জন্মদিনে, আন্দামান ও নিকোবরের একুশটি অনামী দ্বীপের নাম রাখা হল বীর সেনাদের নামে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরমবীর চক্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত ২১ জন সেনার নামে ওই দ্বীপগুলির  নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২১ সালে, ২৩ জানুয়ারি, নেতাজির জন্মদিনটিকে পরাক্রম দিবস বলে ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার। এর আগে, রস আইল্য়ান্ডকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দ্বীপ এবং নীল ও হ্য়াভলককে শহিদ ও স্বরাজ দ্বীপ নাম দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।