কলকাতা: গার্ডেনরিচকাণ্ডের মধ্যেই পাথুরিয়াঘাটায় (Pathariaghata) ভাঙল পুরনো বাড়ির একাংশ। পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে বিপজ্জনক বাড়িতে ভাঙল সিঁড়ি। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েন ২জন। তাঁরা সম্পর্কে স্বামী ও স্ত্রী তবে শেষ অবধি পাওয়া খবরে, দীর্ঘক্ষণের চেষ্টার পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।  ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে এসেছেন শশী পাঁজা। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে।


স্থানীয় সূত্র মারফত যেটা জানা যাচ্ছে যে, পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটের ৮০/১ এবং ৮০/২ এই দুটি বাড়িকেই বিপদজ্জনক তকমা দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। তারপরেও কেন ওই বিপজ্জনক বাড়িতে ঝুঁকি নিয়ে বাসিন্দারা ছিলেন ? প্রশ্নটা রয়ে গিয়েছে। তবে এবার বিপদ এসে শিরদাড়া ছুঁয়ে গিয়েছে।ধ্বংসস্তূপে দম্পতি আটকে পড়লেও, শেষ অবধি তাঁদের বাঁচানো গিয়েছে । সেই মর্মে কলকাতা পুরসভার নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এদিন শশী পাঁজা বলেন, 'আমরা একদিকে আশ্বস্ত হলাম যে, কেউ আহত হয়নি।এভরিথিং ইজ ওকে।'


গার্ডেনরিচে পুরসভার নির্দেশে ভাঙা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি বিপদজনক বহুতল। বহুতলদুটির বাসিন্দাদের সড়ানো হয়েছে কমিউনিটি হলে। করে দেওয়া হয়েছে অস্থায়ী বাসস্থান। অন্য়দিকে, গার্ডেনরিচ কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল আরও এক জমির মালিককে। গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল বিপর্যয় কেড়ে নিয়েছিল ১২ টি তরতাজা প্রাণ।এই বহুতল ভেঙে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বহুতল লাগোয়া একাধিক বাড়ি। পুরসভার নির্দেশে ভাঙা হচ্ছে এমনই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দুটি বিপদজনক বহুতল । পুরসভা সূত্রে খবর, মোট  ৫৬ জন থাকত এই দুটি আবাসনে। পুরসভার উদ্য়োগে তাঁদের একটি কমিউনিটি হলে থাকার ব্য়বস্থা করে দেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি হলের মধ্য়ে প্লাই দিয়ে প্রত্য়েক পরিবারের জন্য় তৈরি করে দেওয়া হয়েছে অস্থায়ী বাসস্থান।


আরও পড়ুন, এজলাসে ঢুকে আইনজীবীদের 'তাণ্ডব', কোর্টেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বিচারক


গার্ডেনরিচের ঘটনার পর পুরসভার তরফ থেকে ৬টি বাড়িকে বিপদজনক বলে চিহ্নিত করা হয়। যে তালিকায় ছিল এই দুটি ফ্ল্য়াটও।পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য়, ভোটের পর 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পের মাধ্য়মে এই আবাসনের বাসিন্দাদের স্থায়ী বাসস্থান করে দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখবে পুরসভা। কলকাতা পুরসভা মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন,বাংলার বাড়ি প্রকল্পের মাধ্য়মে বাড়ি করে দেওয়া যায় কিনা দেখা হবে। গার্ডেনরিচের পাহাড়পুরে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনা রীতিমতো সাড়া ফেলেছিল গোটা রাজ্য়ে। যা নিয়ে এখনও পর্যন্ত চলছে রাজনৈতিক জলঘোলা।